এই পাঁচটি কারণে একদম মিস করবেন না `ক্যাপ্টেন আমেরিকা`
ক্যাপ্টেন আমেরিকা-সিভিল ওয়্যার দেখার জন্য একটু বেশি খরচা হবেই। তবে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই, হল থেকে বেরনোর সময় মুখে হাসি থাকবেই। বলছেন ফিল্ম সমালোচক শর্মিলা মাইতি
১. মার্ভেল কমিকসের চরিত্রগুলোর বৈশিষ্ট্য একটাই, কমিকসের পাতার থেকেও বেশি আকর্ষণীয় চলমান চরিত্রগুলো। দুর্দান্ত ক্যামেরাওয়ার্ক, স্পেশাল এফেক্টস আর এডিটিং- সর্বকালের সেরা সায়েন্স ফিকশনের তালিকায় উপরের দিকেই জায়গা করে নেবে 'ক্যাপ্টেন আমেরিকা দ্য সিভিল ওয়্যার'। বিশেষ করে 'ব্যাটম্যান ভার্সাস সুপারম্যান' দেখে যাঁরা খুব হতাশ হয়েছেন, তাঁদেরকে তো ক্ষত সারানোর জন্য অব্যর্থ মলম এটাই।
২. ক্যাপ অ্যামের চরিত্রে ক্রিস এভানস ও আয়রনম্যান রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের থেকে চোখ সরাতে পারবেন না। আবার একটা সিকোয়েলের জন্য ছটফটানি থেকেই যাবে, শুধু এঁদের জন্যেই। সাধারণত সায়েন্স ফিকশনে প্রধান চরিত্রগুলোর আবেগ-অভিব্যক্তি
৩. কী পাবেন না এই ছবিতে, সেটাই ভাবতে বসুন। ধুন্ধুমার অ্যাকশন তো আছেই, থ্রি-ডি ফরম্যাটে এই অ্যাকশন সিকোয়েন্সগুলো আপনার আমার ঘরের ভিতর ঢুকে পড়েছে যেন। তাছাড়াও পুরোমাত্রায় অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ। অ্যাভেঞ্জারদের কাছে আল্ট্রনের পরাজিত হওয়ার এক বছর বাদে, এই সিকোয়েলে ব্রক রামলো চেষ্টা করছেন লাগোসের এক ল্যাবরেটরি থেকে মারাত্মক বিষময় এক বায়োলজিক্যাল ওয়েপন বা মারণাস্ত্রের ফর্মুলা চুরি করতে। বুদ্ধি ও শক্তি প্রয়োগে ক্যাপ অ্যাম টিম, অর্থাত্, স্টিভ রজার্স ('ক্যাপটেন আমেরিকা'), নাতাশা রোমানফ, স্যাম উইলসন ও ‘আগুন গোলার রানি’ ওয়ান্ডা। বাকিটা আপনাদের দেখার অপেক্ষায়।
৪. শুধুই শুভ-অশুভের দ্বন্দ্ব নয়, এই সরলসোজা ট্র্যাকটা থেকে বেরিয়ে এসেছেন পরিচালক। ক্যাপ অ্যাম টিম মেম্বাররা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-ঝাঁটি করে, ফোক্সভাগেনের পেছনের সিটে বসে নিজেদের মধ্যে আকচাআকচি করে.. দেখতে মন্দ লাগবে না।
৫. কিশোর 'পিটার পার্কার'। বুক বাজিয়ে যেমন দেখাতে পারেন মাকড়সা জালের কেরামতি, তেমনি মজাদার তার বকবকানি। সায়েন্স ফিকশনে ফ্যানটাসি এলিমেন্ট যোগ করছে এই টম হল্যান্ড। দিব্যি লাগবে!