নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্মক্ষেত্রে মানসিক নির্যাতন, আর সেকারণেই নাকি সম্প্রতি গর্ভপাত হয়েছে 'কিঁউ কি শাস ভি কভি বহু থি', 'ইয়ে মহব্বত হ্যায়' খ্যাত অভিনেতা সুমিত সচদেবের স্ত্রী অমৃতা গুজরালের। সম্প্রতি এবিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল সাইটে মুখ খুলেছেন অভিনেতা সুমিত সচদেব। এক্ষেত্রে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিনেতা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা যাচ্ছে, ৫ মাসের সন্তানসম্ভবা ছিলেন অভিনেতা সুমিত সচদেবের স্ত্রী অমৃতা গুজরাল সচদেব। সম্প্রতি অমৃতার গর্ভপাত হয়। এপ্রসঙ্গে বিচার চেয়েছেন সুমিতা। পুলিসের কাছে অভিযোগও দায়ের করেছেন সুমিত ও অমৃতা। তাঁর ও স্ত্রীর যন্ত্রণার কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা লম্বা চিঠি লিখেছেন সুমিত। তাঁর কথায় মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী অমৃতা। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রীকে কর্মক্ষেত্র থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। আর এখবর শোনার ২০ মিনিটের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর সন্তান সম্ভবা স্ত্রী অমৃতা। তাঁর গর্ভপাত হয়।  


স্পট বয় সূত্রে খবর, সুমিত জানিয়েছেন, ''আমার স্ত্রী গোয়ার একটি হোটেলের মুম্বই শাখার সেলস ও মার্কেটিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কাজ করেন। অমৃতা সন্তান সম্ভবা হওয়ার পর ওর কিছু শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। সেকারণেই অমৃতা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিল। যদিও অফিসের অনুরোধেই ওকে কর্মক্ষেত্রের সমস্ত ফোন, ইমেলের জবাব দিতে হতো। মূলত এই সময়টা ও বাড়ি থেকেই অফিসের কাজ কর্ম চালাচ্ছিল। আগামী ২ মাসের জন্য আমৃতার এভাবেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে হঠাৎই অমৃতাকে তাঁর বস বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা দিতে নাকচ করলে গত ১ অগস্ট অমৃতা ফের অফিস জয়েন করে। অফিসে যাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই কাজের ছুতোয় তাঁর বস তাঁকে গোয়ায় ডেকে পাঠায়। সেখানে গিয়ে আমার স্ত্রী অমৃতা জানতে পারেন তাঁরই পরিচিত এক মহিলার সঙ্গে তাঁর বস প্রল্লাদ আদবানি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। আর সেই বিষয়টির সমাধানের পরামর্শ চেয়েই অমৃতাকে গোয়ায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি জানতে পেরে অমৃতা ভীষণই বিরক্ত হয় এবং ও তাঁর বসকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে এটা তাঁর কাজ নয়। পরবর্তীকালে ওই প্রল্লাদ আদবানি নামে ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর কাছে নিজের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে কথা জানান, আর এর পরেই অমৃতাকে ফোন করেন তাঁর স্ত্রী। আমার স্ত্রী অমৃতাকে যা খুশি তাই বলে অপমান করা হয়। জানতে চাওয়া হয় ও জানা সত্ত্বেও বিষয়টি কেন তাঁকে জানানো হয়নি? আর এরপরেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন আমার স্ত্রী অমৃতা। ও পুরো বিষয়টি আমায় ফোনে জানায়, আমি তখন শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমি বসের স্ত্রীর সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ না রাখার পরামর্শ দি। এরই মাঝে অমৃতার অকারণে চাকরি চলে যায়। চাকরি যাওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই অমৃতা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। ওর গর্ভপাত হয়।''





 কঠিন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে, সুমিত লিখেছেন ''গত ২০ অগস্ট আমার পুত্র সন্তানকে আমি আর অমৃতা পুড়িয়ে দিয়েছি। আমরা ক্ষতিপূরণ চাই না, আমার স্ত্রীর সঙ্গে যে ঘটা ঘটেছে তার জন্য ওর বস প্রল্লাদ আদবানির শাস্তি চাই।''