নিজস্ব প্রতিবেদন: ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১.৬৯ লাখ। গতকাল ছিল ১,৫২,৮৭৯ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতে মোট ক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছল প্রায় ১.৩৩ কোটিতে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৮৩৯। সুতরাং, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। 
এটি পঞ্চম দিন যেখানে প্রায় ১ লাখের উপর আক্রান্তের সংখ্যা রয়ে গিয়েছে। বাড়ছে বইকি কমছে না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৩২ দিন ধরে টানা ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১১,০৮,০৮৭ জন। জানা যাচ্ছে, প্রায় ৮.২৯ শতাংশ হারে বাড়ছে রোগী।  


আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে শুধু স্বাদ চলে যাওয়া নয়, মুখগহ্বরে দেখা দিচ্ছে আরও ৪ সমস্যা


একাধিক রাজ্যে আগামীকাল থেকে লকডাউন সহ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক। 
করোনাভাইরাস সংক্রমণের লাগামছাড়া উর্ধ্বগতিতে রাশ টানতে মহারাষ্ট্রে কঠোর লকডাউন জারির ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। জানা গিয়েছে, লকডাউন জারি করলে সমাজের বিভিন্ন অংশের জীবনজীবিকার ওপর প্রভাব পড়বে। সেই সমস্ত অংশের মানুষের জন্য আর্থিক প্যাকেজ চূড়ান্ত করতে আজ বৈঠক করবেন উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। তবে টানা লকডাউউন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। 


শনিবার গভীর রাতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল  দিল্লি সরকার নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে, পরবর্তী আদেশ অবধি সমস্ত সামাজিক, রাজনৈতিক, ক্রীড়া, বিনোদন, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সমাবেশ নিষিদ্ধ। দিল্লি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (ডিডিএমএ) জারি করা নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, সমস্ত সিনেমা, থিয়েটার এবং মাল্টিপ্লেক্সগুলিকে তাদের আসন সংখ্যা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত খোলার অনুমতি দেওয়া হবে।


নির্দেশিকাতে আরও বলা হয়েছে দিল্লির সুইমিং পুলগুলি বন্ধ থাকবে। দিল্লি মেট্রো এবং ডিটিসি এবং ক্লাস্টার বাসগুলি ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে। কলেজ, কোচিং প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। বিয়ে তে আমন্ত্রিত করতে হবে ৫০ শতাংশ। 


অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে  ধর্মীয়ে স্থানে ৫ জনের বেশি প্রবেশ করতে পারবেন না। অফিসে ৫০ শতাংশ নিয়ে কাজ করতে হবে। মধ্যপ্রদেশে ১১ জেলায় সপ্তাহান্তে লকডাউন জারি করা হয়েছে। কর্ণাটকের ৭ শহরে ১০ দিনের জন্য নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছে। রাত ১০ টা থেকে সকাল ৫ টা পর্যন্ত চলবে ১৪৪ ধারা।