নিজস্ব প্রতিবেদন: পোস্ত খেতে ভালবাসেন না, এমন মানুষের সংখ্যাটা বোধহয় খুব একটা বেশি নয়! তবে শুধু রসনার তৃপ্তিই নয়, নানা গুণে ভরা পোস্ত শরীরও রাখে চাঙ্গা। কারণ, পোস্ততে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, মিনারেল (খনিজ), জিঙ্ক এবং ফসফরাসের মতো একাধিক স্বাস্থ্যকর উপাদান। শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে পোস্ত অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। আসুন পোস্তর আশ্চর্য ১০টি স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় পোস্তর কার্যকারীতা:


১) পোস্ত বা পোস্ত বাটা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।


২) পোস্তয় রয়েছে ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম যা হাড় শক্তিশালী, মজবুত করে তুলতে সাহায্য করে।


৩) পোস্তয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম আর কপার যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।


৪) মুখের আলসার প্রতিরোধ করে। পোস্ত বাটার সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে খেতে পারলে মুখে ঘায়ের যন্ত্রণায় আরাম পাওয়া যায়।


৫) উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ রাখতে, অনিদ্রা দূর করতে চায়ের কাপে কয়েক দানা পোস্ত দিয়ে খেতে পারেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে পোস্ত দেওয়া চা খেতে পারলে দারুন ঘুম হবে।


৬) পোস্তয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।


৭) পোস্তয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড যা ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।


৮) পোস্তয় থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে রোজ পাতে সামান্য পরিমাণে হলেও পোস্ত রাখা ভাল।


আরও পড়ুন: হাঁপানি, হার্ট অ্যাটাক থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকি, কমাতে পারে কাঁঠাল!


৯) পোস্তয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ভাতের সঙ্গে কাঁচা পোস্তবাটা খেতে পারলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় আরাম পাওয়া যায়।


১০) ঠাণ্ডা-গরমে যে খুসখুসে শুকনো কাশি হয়, পোস্ত দিয়ে তৈরি যে কোনও খাবার খেলে তা সহজেই কমে যাবে। এ ছাড়াও, ১ চামচ মধু, ১ চামচ পোস্ত বাটার সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে শুকনো কাশি দ্রুত কমে যাবে।