নিজস্ব প্রতিবেদন: বিপদ কখনও বলে-কয়ে আসে না! যেমন, কুকুরে কামড়ানো। যাঁরা কুকুর ভালবাসেন, তাঁরাও কুকুর কামড়ানোর আতঙ্কে সতর্ক থাকেন। আবার এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা কুকুর কামড়ানোর ভয়েই প্রাণীটির থেকে শত হস্ত দূরে থাকেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আসলে, কুকুরের কামড় অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক এবং মারাত্মক! তাছাড়া কুকুরের কামড় থেকে জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। রেবিস নামের ভাইরাস থেকে এই জলাতঙ্ক রোগ হয়ে থাকে।


জলাতঙ্ক একটি স্নায়ুর রোগ। রেবিস ভাইরাস কুকুরের লালা থেকে ক্ষতস্থানে লেগে সেখান থেকে শরীরে প্রবেশ করে। যদি সময় মতো চিকিত্সা করানো না যায়, তাহলে জলাতঙ্কের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে! তবে কুকুর কামড়ানোর পর সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি পদক্ষেপ করতে পারলে জলাতঙ্ক বা তার কারণে মৃত্যুর আর তেমন কোনও ঝুঁকি থাকে না। আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...


১) প্রথমেই ক্ষত স্থানটি চেপে ধরে কিছু ক্ষণ রাখুন। এতে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।


২) এর পর একটি পরিষ্কার তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে ক্ষত স্থানটি ভাল করে পরিষ্কার করুন। এ সময় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করতে পারেন। তবে ক্ষত স্থান পরিষ্কার করার সময় খুব বেশি ঘষাঘষি না করাই ভাল।


আরও পড়ুন: আপনার স্মার্টফোন কতটা রেডিয়েশন ছড়াচ্ছে জানেন?


৩) ক্ষত স্থানটিতে অ্যান্টিবায়েটিক ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে তার পর একটি গজ দিয়ে ভাল করে বেঁধে ফেলুন। ক্ষত স্থান খোলা থাকলে জীবাণুর সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।


৪) প্রাথমিক চিকিৎসার পর যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রয়োজনে টিটেনাস ইনজেকশন দিতে হবে। কুকুর কামড়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ইনজেকশন দেওয়া উচিত। রাস্তার কুকুরের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে পরবর্তী ওষুধ, ইনজেকশন বা প্রয়োজনীয় চিকিত্সা অবশ্যই করাতে হবে।