নিজস্ব প্রতিবেদন: সম্প্রতি ব্রিটিশ বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ‘দি ল্যানসেট’ (The Lancet)-এ প্রকাশিত হয়েছে অক্সফোর্ডের করোনা টিকার ফলাফল। প্রত্যাশিত ভাবেই করোনার বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে এই টিকা! ৯০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবকের শরীরেই করোনা-রোধী শক্তিশালী অ্যান্টিবডি এবং টি-সেল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটি!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভূতপূর্ব এই সাফল্যের খতিয়ান সামনে আসার পরই ভারতে এই প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছিল এটির উৎপাদনের দায়িত্বে থাকা বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India)। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (DCGI) কাছে অনুমতিও চাওয়া হয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে। অবশেষে ছাড়পত্র মিলেছে। দেশের মোট পাঁচটি জায়গায় করা হবে অক্সফোর্ডের করোনা টিকার (ডিএনএ ভেক্টর ভ্যাকসিন) হিউম্যান ট্রায়াল। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রের বায়োটেকনোলজি বিভাগ (DBT)।


সূত্রের খবর, দেশের পাঁচটি বড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনার টিকা Covishield-এর হিউম্যান ট্রায়ালের প্রস্তুতি জোর কদমে শুরু করা হয়েছে। এই ট্রায়াল সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রের বায়োটেকনোলজি বিভাগের (DBT) সচিব রেণু স্বরূপ (Renu Swarup) সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানান, দেশের পাঁচ জায়গায় শুরু হবে এই প্রতিষেধকের ট্রায়াল। মোট ১,০০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে।


আরও পড়ুন: ১৩০ কোটি মানুষের জন্য করোনা প্রতিষেধক মজুত করতে 'হিমঘর' তৈরির পরিকল্পনা কেন্দ্রের!


সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla) জানান, এ বছরের মধ্যেই Covishield-এর প্রায় ৪০ কোটি ডোজ তৈরি করে ফেলবে তাঁর সংস্থা। তিনি জানান, তাঁর সংস্থা যে পরমাণ প্রতিষেধক তৈরি করবে তার ৫০ শতাংশ ভারতীয় বাজারের জন্য বরাদ্দ থাকবে।