নিজস্ব প্রতিবেদন: কথাতেই আছে ‘ভেতো বাঙালি’! ভাত আর বাঙালির দীর্ঘদিনের একটা অন্তরিক সম্পর্ক রয়েছে যা চিকিত্সকের হাজার নিষেধ সত্ত্বেও ছিন্ন হয় না। এ দিকে ভাত খেলে মোটা হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। ভাতের প্রতি প্রেম যাঁর যত বেশি, তাঁর ওজনও তত বেশি! মেদ, ভুঁড়ি যতই বাড়ুক, এক বেলা ভাত না খেলে সারা দিনটাই যেন ‘মাটি’। তবে পুষ্টিবিদ আর বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাতে রয়েছে এমন বেশ কয়েকটি পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি! আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) ব্র্যান অয়েল বা চালের থেকে তৈরি তেল আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারী। এই তেলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও নিয়মিত এই তেলের রান্না খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।


২) ভাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা শরীরে প্রচুর শক্তির যোগান দেয়। তবে ভাতে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বেশি থাকলেও এটি একটি লো ফ্যাট, লো সুগার জাতীয় খাবার। তাই ভাত আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।


আরও পড়ুন: ভাত, দুধ, ফল খাওয়ার সঠিক সময় জানেন তো! না হলে ফল হবে উল্টো!


৩) একটা ধারণা আমাদের অনেকের মধ্যেই প্রচলিত আছে যে, ভাত খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। কিন্তু বাস্তবে অন্য সব খাবারের মতোই নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে পারলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ১০০ গ্রাম ভাতে রয়েছে প্রায় ১০০ গ্রাম ক্যালরি।


৪) ভাতে কোলেস্টেরল আর সোডিয়াম নেই। তাই যাঁদের হাইপারটেনশনের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা নির্দিষ্ট পরিমাণে ভাত খেতে পারলে উপকৃত হবেন।


৫) ভাত খেলে মোটা হয়ে যাবেন এটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ভাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন ডি, নিয়াসিন, ভিটামিন বি ১-থায়ামিন, ক্যালসিয়াম, আর ফাইবার। তাই ব্যালেন্সড ডায়েটের ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণে ভাত রাখতেই হবে।


৬) ভাত একেবারেই গ্লুটেন মুক্ত একটি খাবার। অনেকেরই গ্লুটেন যুক্ত খাবার সহ্য হয় না। তাই পুষ্টিবিদদের মতে, ভাত একটি ‘নন অ্যালার্জিক’ খাবার।