নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশজুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬৫৬ জন। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৪২। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৬,৬৪২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৯,৮৮৭ জন, মৃত্যু হয়েছে ২৯৪ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে ইটালিকেও পেছনে ফেলে ষষ্ঠ স্থানে চলে এসেছে ভারত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এরই মধ্যে আসা জাগিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধক ChAdOx1 nCoV-19-এর উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ (AstraZeneca)। করোনা প্রতিষেধক উৎপাদনের গতি বাড়ানোর জন্য ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট-এর (Serum Institute of India) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে অ্যাস্ট্রা জেনিকা। এই দিকে নজর রেখে AIIMS-এর ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়ার আশ্বাস, করোনা প্রতিষেধক নিয়ে আর বেশি দিন হয়তো অপেক্ষা করতে হবে না মানুষকে। বড়জোড় তিনমাস, তার মধ্যেই করোনা প্রতিষেধক তৈরি হয়ে যাবে, মত ডঃ গুলেরিয়ার।


আরও পড়ুন: শুরু হল অক্সফোর্ডের করোনার টিকার উৎপাদন! সেপ্টেম্বরে মধ্যেই মিলতে পারে ২০০ কোটি ডোজ


দেশের করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে বলতে গিয়ে ডঃ গুলেরিয়া জানান, ভারতীয়দের প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। কারণ, বেশির ভাগ নাগরিকদেরই বিসিজি টিকা (যক্ষ্মা বা কুষ্ঠরোগের প্রতিষেধক) নেওয়া আছে। ভারতের ৯০ শতাংশ করোনা আক্রান্তের শারীরিত অবস্থাই স্থিতিশীল। শুধু তাই নয় তাঁদের মধ্যে করোনার উপসর্গগুলিও তেমন প্রকট নয়। মৃত্যুর হারও এখন কম। এখানে খুব কম সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রেই ইনটেনসিভ কেয়ার বা ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হচ্ছে। হাইড্রক্সিক্লোরোকুই বা রেমডেভিসিরের মতো ওষুধের সাহায্যে বেশির ভাগ করোনা আক্রান্তদেরই অল্প দিনের মধ্যেই সারিয়ে তোলা যাবে বলে বিশ্বাস ডঃ গুলেরিয়ার। তাই এখনকার বমো পরিস্থিতি খুব বেশি দিন থাকবে না বলেই মত AIIMS-এর ডিরেক্টরের।