নিজস্ব প্রতিবেদন: চিন থেকে শুরু করে গোটা বিশ্ব আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। চিন ছাড়াও বিশ্বের শতাধিক দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। গোটা বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭১ লক্ষ ৭ হাজার ৭০১ জন। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। এই ভাইরাসে ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিন থেকে করোনা সংক্রমণের সূত্রপাত হলেও সেখানকার পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। প্রায় দেড়শো কোটি জনসংখ্যার দেশে আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু ১ লক্ষও পেরোয়নি। করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাটাও ৫ হাজারের মধ্যেই আটকে রয়েছে এখনও। কোন যাদুবলে এমনটা সম্ভব হল! রবিবার ‘স্টেট কাউন্সিল অব ইনফর্মেশন’ বেজিংয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে ফাঁস করল সে কথা!


এই সাংবাদিক সম্মেলনে ‘স্টেট কাউন্সিল অব ইনফর্মেশন’-এর পক্ষ থেকে জু লিন জানান, মে পর্যন্ত সে দেশে মোট ৮৩ হাজার ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৮ হাজার ৩০৭ জন। অর্থাৎ, দেশের ৯৪.৩ শতাংশ করোনা রোগীকেই সম্পূর্ণ সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো গিয়েছে। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, করোনার প্রকোপ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ৭৮ হাজার ৩০৭ জনের মধ্যে ৯২ শতাংশ রোগীকেই ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন (TCM)-এর সাহায্যে চিকিৎসা করা হয়েছে। অর্থাৎ, চিনের মোট করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৯২ শতাংশই ঐতিহ্যবাহী চিনা ভেষজ ও প্রচলিত ওষুধের প্রয়োগেই সেরে উঠেছেন।


আরও পড়ুন: এই ব্লাড গ্রুপের মানুষদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৫০% বেশি!


মাস খানেক আগেই হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ওয়াং হেশেং জানান, চিনের উহানের হাসপাতালে প্রায় ৩ হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী চিনা ওষুধের ব্যবহার করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সা শুরু করেছিলেন চিকিত্সকরা। হেশেং জানান, ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন (TCM)-এর বিশেষজ্ঞদের প্রায় আড়াই হাজার জনের একটি দল হুবেই প্রদেশে চিকিৎসা চালিয়েছেন করোনা আক্রান্তদের। আর তাতে আশাতীত ফলও মিলেছে।