Cholesterol: উৎসবের আবহে ঘন ঘন ভূরিভোজে বেড়েছে কোলেস্টেরল? চিন্তা নেই, এই ক`টি বিষয় শুধু মাথায় রাখুন...
Cholesterol: রক্তে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা ১০০-র নীচে থাকলে সেটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই ধরা হবে; কিন্তু তা ১৩০-এর ঘর পেরিয়ে গেলেই ভীতিপ্রদ। তখন সাবধান হতে হবে। না হলে হৃদযন্ত্রগত নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দুর্গাপুজো আর কালীপুজোর আবহে অনিয়মিত ও অনিয়ন্ত্রিত ভোজের কবলে পড়ে বেড়ে গিয়েছে কোলেস্টেরল? তো এমনটা তো হতেই পারে। কিন্তু ভয় নেই। উদযাপনের দিন-তিথি-লগ্ন কেটে গেলে একটু সাবধান হলেই চলবে। উচ্চমাত্রার দিকে ঝুঁকতে থাকা কোলেস্টেরলের মাত্রাকে আটকে দিতে হবে। কী ভাবে করবেন সেটা? বহু পথ আছে। আপনি আপাতত এরই থেকে বেছে নিয়ে বেশ কয়েকটি পথ অনুসরণ করতে পারেন।
যেমন ডায়েটে ফাইবার বাড়ান
রোজকার মেনুতে সলিউবল ফাইবারওয়ালা খাবারের পরিমাণ বাড়ান। নাসপাতি, আপেল, বিনস বা ওটমিলে এই ধরনের সলিউবল ফাইবার প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট কমান
আপনার ব্রেকফাস্ট লাঞ্চ বা ডিনার থেকে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ কমাতেই হবে। স্য়াচুরেটেড ফ্যাটই সব চেয়ে ক্ষতিকর। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। ফলে যে ভাবেই হোক আপনাকে এড়িয়ে যেতেই হবে স্যাচুরেটেড ফ্যাট-ওয়ালা খাবার-দাবার। খুঁজুন পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট-ওয়ালা খাবারদাবার।
আরও পড়ুন: Early Periods: ঢের কম বয়সেই ঋতুমতী হয়ে উঠছে মেয়েরা! কেন? কোভিড জানে গোপন কর্মটি...
ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড
আপনার খাবারে থাক ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যদিও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় না। কিন্তু এটি একটি সুস্থ কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য খুবই জরুরি।
ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ
যাঁরা মদ্যপান করেন শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে তাঁদের অবিলম্বে মদ্যপান ত্যাগ করা জরুরি। যদি কোনও ভাবেই তাঁরা না ছাড়তে পারেন, তবে কমান। মদ ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের ক্ষেত্রে খুবই ক্ষতিকর। কমান ধূমপানও। সিগারেট খাওয়া কমালেই দেহে গুড কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। যা প্রকারান্তরে আমাদের শিরা-ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন সুস্থ রাখে।
নিয়মিত শরীরচর্চা
অন্ততপক্ষে আধঘণ্টার জন্য শরীরচর্চা করুন। শরীরচর্চা মানবদেহের গোটা সিস্টেমটাকে নানা ভাবে সুস্থ রাখে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে নিয়মিত শরীরচর্চা।
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করানো দরকার। রক্তে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা ১০০-র নীচে থাকলে সেটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই ধরা হবে; কিন্তু তা ১৩০-এর ঘর পেরিয়ে গেলেই ভীতিপ্রদ। তখন সাবধান হতে হবে। না হলে হৃদযন্ত্রগত নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। ফলে, আগে থেকেই সাবধান হওয়া জরুরি।