মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: রাজ্যে অ্যাডিনোভাইরাসের আতঙ্ক সৃষ্টির পেছনে রয়েছে তার রিকম্বিন্যান্ট স্টেইন বা পরিবর্তিত প্রজাতি? এমনই কথা শোনাচ্ছ নাইসেড। অ্যাডিনোভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বালিগঞ্জ-গড়িয়াহাটের পর পার্ক স্ট্রিট, এবার গাড়ি থেকে উদ্ধার তাড়া তাড়া নোট


নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত জানিয়েছেন, মোট নমুনার ৩০ শতাংশের বেশি নমুনাতে অ্য়াডিনোভাইরাস পাওয়া যায়। তারপরই ভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্সিং করে দেখা হয়, কেন এত বিপুল সংখ্যক শিশু এর আক্রমণে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সেই জেনোম সিকোয়েন্সিংয়েই ধরা পড়েছে আ্যাডিনোভাইরাসের দাপাদাপির পেছনে রয়েছে রিকম্বিন্য়ান্ট বা মিউটেটেড স্টেইন-৭ ও ৩। সঙ্গে রয়েছে আরও কিছু স্ট্রেইন। আগেও এই ভাইরাসের রিকম্বিন্যান্ট স্টেইন পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু তার সংখ্যা অনেক কম ছিল। এখন দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগই রিকম্বিন্য়ান্ট স্টেইন।


নাইসেডের তরফে জানানো হয়, ডিসেম্বরে যে অ্যাডিনোভাইরাসের হার ছিল ২২ শতাংশ সেই সংক্রমণের হারই জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ৩০ শতাংশের বেশি হয়ে গিয়েছে। এতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাই। এবার জেনোম সিকোয়েন্সিং করে দেখা যাচ্ছে ওই সংক্রমণের পেছনে রয়েছে মিউটেটেড স্ট্রেইন। দেখা যাচ্ছে শহরের বেশ কয়েকটি শিশু হাসপাতাল-সহ অধিকাংশ হাসপাতালের শিশুদের ওয়ার্ডে প্রচুর সংখ্যায় শিশু ভর্তি হচ্ছে। বলা যেতে পারে ওইসব ওয়ার্ড উপচে পড়েছে অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত শিশুতে। কারও কারও নিউমোনিয়া দেখা যাচ্ছে। তাদের ভেন্টিলেশনেও দিতে হচ্ছে। কোভিডের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছিল মিউটেশনের ফলে বিভিন্ন স্ট্রেইন মারাত্মক হয়ে উঠছিল। অ্যাডিনোভাইরাসের ক্ষেত্রেও তা হচ্ছে কিনা তা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


কী বলছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা


বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রভাস প্রসূন গিরি বলেন, তিন বছর আগেও অ্যাডিনোভাইরাসের প্রবল সংক্রমণের সম্মুখীন হয়েছিলাম আমরা। তার থেকে এবছর অ্য়াডিনোভাইরাসের তীব্রতা অনেকটাই বেশি। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের কাছে সেরোটাইপিং ডেটা না আসে ততক্ষণ কিছু বলা যাবে না। প্রাথমিকভাবে যে তথ্য় আমাদের হাতে রয়েছে তাতে টাইপ ৩ ও টাইপ ৭ বর্তমানে বেশি শক্তিশালী। বিশ্বের ডেটা ঘেঁটেও দেখা গিয়েছে সেখানেও ওই দুই প্রজাতি শক্তিশালী ছিল। এই দুটি স্ট্রেইনকেই অ্য়াডিনোভাইরাসের সবচেয়ে ভয়াল স্চ্রেইন বলা হয়। এখন যে ভাইরাল ফিভার হচ্ছে তাতে জ্বর, সর্দি-সহ অনেক কিছুই হচ্ছে। এদের বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই অ্যাডিনাভাইরাস দায়ী। তবে অ্য়াডিনোভাইরাস রয়েছে মানেই খুব মারাত্মক হয়ে যাবে তার কোনও মানে নেই। যাদের বয়স ২ বছরের কম তাদের ক্ষেত্রে গুরুতর আকার নিচ্ছে। সেক্ষেত্রে দেখতে হবে বাচ্চার আচার আচরণ লক্ষ্য করতে হবে। বাচ্চার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিনা লক্ষ্য রাখতে হবে। শ্বাসকষ্ট হলে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। জ্বর হলেই চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)