নিজস্ব প্রতিবেদন: অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলতেন ‘আমি যদি পদার্থবিদ না হলে সম্ভবত সঙ্গীতশিল্পী হতাম’। সঙ্গীত শুধু মনোরঞ্জনের জন্য নয়, আমাদের শরীর-মনের স্বাস্থ্যের জন্যেও খুবই উপকারী! শারীরিক ক্লান্তি, মানসিক অবসাদ কাটানোর পাশাপাশি মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বাড়াতেও সঙ্গীত অত্যন্ত কার্যকরী। আসুন জেনে নেওয়া যাক শরীর-মনের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সঙ্গীতের ৫টি আশ্চর্য উপকারীতা…


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সঙ্গীত মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে। বয়স্ক মানুষদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সঙ্গীতের কার্যকরী প্রভাব রয়েছে। গবেষকদের মতে, গান শোনা এমনই একটি কাজ যার মাধ্যমে আমাদের সম্পূর্ণ মস্তিষ্ক একসঙ্গে সজাগ হয়ে ওঠে। বাড়ে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও।


২) বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, মানসিক অবসাদ কমাতে বা কাটাতে সঙ্গীত অত্যন্ত কার্যকরী। শরীরের ক্লান্তি কাটাতেও সঙ্গীতের জুড়ি মেলা ভার! প্রচণ্ড কাজের চাপে শরীর, মন ক্লান্ত হয়ে পড়লে গান শুনুন। উপকার পাবেন।


আরও পড়ুন: যখন তখন প্রস্রাবের চাপে বিব্রত? এড়িয়ে চলুন এই ৬ ধরনের খাবার


৩) জানেন কি পানশালায় বা ডিস্কোতে কেন ‘লাউড মিউজিক’ বাজানো হয়? একাধিক সমীক্ষায় এটা প্রমাণিত যে, ‘লাউড মিউজিক’-এ অ্যালকোহলের প্রভাব অনেকটাই কমে যায়। অর্থাৎ, চট করে নেশা হয়না। ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি পানীয় খাওয়া যায়। ফলে পানশালা বা ডিস্কোতে অ্যালকোহলের বিক্রি বেশি হয়। অর্থাৎ, যত ‘লাউড মিউজিক’ শুনবেন তত কম পড়বে অ্যালকোহলের প্রভাব।


৪) ব্যায়াম বা শরীরচর্চার সময় গান বা ‘ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক’ শুনলে সহজে ক্লান্তি আসে না। ফলে দীর্ঘক্ষন শরীরচর্চা চালিয়ে যাওয়া যায়।


৫) বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, খামারে সঙ্গীত বা যন্ত্রসঙ্গীত চালিয়ে রাখলে গাছের বৃদ্ধি তুলনামূলক ভাবে দ্রুত হয়।


৬) একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত, সঙ্গীত মনসংযোগ বৃদ্ধিতে ও বুদ্ধিমত্তার বিকাশে সাহায্য করে। মার্কিন গবেষকদের দাবি, অঙ্ক করার সময় গান শুনলে বৃদ্ধি পায় সাফল্যের হার।