নিজস্ব প্রতিবেদন: পোস্তর নাম শুনলেই অনেকের জিভে জল চলে আসে। তা সে পোস্ত বাটাই হোক বা আলু পোস্ত! ঝিঙে, পটল বা ঢ্যাঁড়শ— যে কোনও সবজির সঙ্গে পোস্ত মেশালেই তার স্বাদই বদলে যায়। মাছ বা মাংসের স্বাদে একঘেয়েমি কাটাতে পোস্ত দিয়ে রান্না করেন অনেকেই। চিকেন পোস্ত, রুই পোস্ত বা পোস্ত চিংড়ির মতো একাধিক জিভে জল আনা পদ তৈরি হয় পোস্তর ছোঁয়ায়!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে পোস্ত যে শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ায়, তা কিন্তু নয়। পোস্ত দানা শরীরকে রাখে ঠান্ডা। এ ছাড়াও পোস্ততে রয়েছে এমন একাধিক স্বাস্থ্য উপকারীতা যা শুনলে হয়তো অনেকেই অবাক হয়ে যাবেন! আসুন পোস্তর বেশ কয়েকটি চমকপ্রদ স্বাস্থ্য উপকারীতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...


১) অনিদ্রায় ভুগছেন? ইনসমনিয়ায় রাতের পর রাত জেগে কাটছে? ঘুমোতে যাওয়ার আগে পোস্ত বাটার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খান নিয়মিত ১ চামচের মতো খেয়ে দেখুন। দেখবেন সহজেই ঘুম চলে আসবে।


আরও পড়ুন: ভাত, দুধ, ফল খাওয়ার সঠিক সময় জানেন তো! না হলে ফল হবে উল্টো!


২) পোস্ততে থাকা ক্যালসিয়াম, কপার আর আয়রন মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।


৩) পোস্ততে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।


৪) পোস্ততে রয়েছে ক্যালসিয়াম আর ফসফরাস যা হাড়কে আরও শক্তিশালী করে তোলে।


৫) পোস্ততে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হৃদযন্ত্র ভাল থাকে।


৬) চুলকানি বা র‌্যাশের সমস্যায় ওষুধের কাজ করে পোস্ত। ঘন করে পোস্ত বেটে নিয়ে তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশিয়ে ভাল ত্বকের চুলকানি বা র‌্যাশের অংশের উপর লাগান। দ্রুত আরাম পাবেন।


৭) পোস্ততে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে ভাতের সঙ্গে কাঁচা পোস্ত বাটা খান। নিয়মিত খেতে পারলে দ্রুত উপকার পাওয়া সম্ভব।