নিজস্ব প্রতিবেদন: রোগ-ব্যাধির বাড়বাড়ন্তে মুঠো মুঠো ওষুধ খাচ্ছেন? তাও সমস্যা কমছে না? এ বার তাহলে আদা-জল খেয়ে লড়াইয়ে নামার সময় এসেছে। ঠাট্টা নয়, আদায় রয়েছে এমন ঔষধিগুণ যা একাধিক রোগ-ব্যাধির মোকাবিলায় সাহায্য করে। ১০০ গ্রাম আদায় রয়েছে ৮০ ক্যালরি এনার্জি, ১৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ০.৭৫ গ্রাম ফ্যাট, ৪১৫ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম আর ৩৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস। অর্থাত্‍, আদা মানেই একাধিক ঔষধিগুণ সম্পন্ন সুষম সবজি। আসুন এ বার আদার নানা স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) হজমের সমস্যা, বুক জ্বালা বা গ্যাস অম্বলে আদা অত্যন্ত কার্যকরী।


২) শরীরের ব্যথা-বেদনার উপশমে আদার প্রভাব আশ্চর্য রকমের! আদার রসে থাকা জিঞ্জেরল কাজ করে আইবুপ্রোফেনের মতো ব্যথার ওষুধের মতোই।


৩) বছর খানেক আগে একদল মার্কিন গবেষক দাবি করেন, আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যাও কমে যেতে পারে আদার রসে।


৪) মিশিগান ইউনিভার্সিটির মার্কিন গবেষকদের মতে, ক্যানসারের কোষগুলির অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি রুখে দিতে পারে আদার রস।


৫) মাইগ্রেনের সমস্যার উপশমে আদার প্রভাব আশ্চর্য রকমের! আদার অ্যান্টিহিস্টামাইন, অ্যান্টিনসিয়া উপাদান মাথা-ধরার অস্বস্তি থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে সক্ষম।


আরও পড়ুন: এই পদ্ধতিতে ভরপেট ভাত খান, মোটা হওয়ার ভয় নেই!


৬) ওজন কমানোর ক্ষেত্রে মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে আদা। আদা ক্যালরি চটজলদি বার্ন করতে সক্ষম। তাছাড়া, আদার রস কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম করায়, মেটাবলিজম রেট বাড়ায়, ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়ায়। ফলে ওজন সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে।


৭) উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আদা অত্যন্ত কার্যকরী। এর জন্য প্রতিদিন ৭৫ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম আদাই যথেষ্ট।


৮) ঠান্ডা-গরমে খুসখুসে কাশি বা সর্দির সমস্যায় আদার রস খুবই কার্যকরী। খুসখুসে কাশিতে গলার ভেতরের অস্বস্তি কমাতে আদার জুড়ি মেলা ভার।


৯) একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত যে কোনও সংক্রমণ ঠেকাতে আদার রস খুবই কার্যকরী।


১০) বমি বমি ভাব, শারীরিক কমাতে আদার কুচি মুখে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।