জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২২৭ দিনে এত বাড়বাড়ন্ত এই প্রথম। ৮৪১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন দেশে। আর এর সঙ্গেই দেশে করোনায় সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজারের ঘরেই আরও এগিয়ে গেল। আগের ৩৯৯৭ থেকে তা দাঁড়াল ৪,৩০৯-য়ে। আজ, রবিবার এই তথ্য প্রকাশ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পাশাপাশি ৩টি মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। কেরালা কর্নাটক ও বিহার থেকে একটি করে মৃত্যুর খবর মিলেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Covid JN.1: ফের বিশ্ব জুড়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ধরন! উদ্বিগ্ন 'হু'...


দেশে কোভিড-আতঙ্ক শুরু হয়ে গিয়েছে অনেকদিন আগেই। ভয়ের যেটা ছিল, তা হল আবার এক নতুন ভ্যারিয়েন্টের আবির্ভাব। নতুন ভ্যারিয়েন্ট মানেই নতুন করে বহু মানুষের অসুস্থ হয়ে পড়া। নতুন করে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়া। ফের বহু মৃত্যু, আতঙ্কের আবহ, সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষের অসহায়তা। সব মিলিয়ে জটিল পরিস্থিতি। এই প্রেক্ষিতে ক্রিসমাসের শেষে, বর্ষশেষের লগ্নে ভয়ের বার্তাই এল। ভারতে আগেই করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০০ পেরিয়েছিল। এর মধ্যে জেএন.১ নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত অনেকেই। বড়দিনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই তথ্য জানিয়েছিল। 


এবার অনেক আগে থেকেই স্বাস্থ্য মন্ত্রক দেশবাসীকে অকারণ আতঙ্ক ছড়াতে নিষেধ করেছিল। সাবধান থাকতে অনুরোধ করেছিল তবে প্যানিক করতে নিষেধ করেছিল। তবে যাঁদের কো-মরবিডিটির সমস্যা আছে, কেন্দ্র তাঁদের অবশ্যই ফেসমাস্ক পরতে এবং অন্যান্য নিয়ম মেনে চলতে অনুরোধ করেছিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগেই বলেছিল, নতুন করে করোনা মোকাবিলার জন্য 'হোল অফ গভর্নমেন্ট অ্যাপ্রোচ' নিয়ে এগোতে হবে। এটা সকলে এক সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার সময়। অবশ্যই সতর্ক থাকা জরুরি, তবে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। রাজ্যগুলিকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল।


সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN.1 কী? JN.1 BA.2.86 ভ্যারিয়েন্টেরই বংশধর। এই  BA.2.86 ভ্যারিয়েন্টের নাম দেওয়া হয়েছে পিরোলা। তা হলে পিরোলা বা  BA.2.86 ভ্যারিয়েন্টের থেকে কোথায় আলাদা সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN.1? JN.1-এর স্পাইক প্রোটিনে মাত্র একটিই অতিরিক্ত মিউটেশন থাকে। যেখানে পিরোলার স্পাইক প্রোটিনে ৩০টিরও বেশি মিউটেশন থাকে। Sars-CoV-2-য়ে স্পাইক প্রোটিনের মিউটেশনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। এই স্পাইক প্রোটিনই মানবকোষের রিসেপটরকে আকৃষ্ট করে ও ভাইরাসকে শরীরের ভিতর ঢুকিয়ে দেয়। 


আরও পড়ুন: Swine Flu H1N2: আতঙ্কের নাম শূকর! এবার মানবদেহেই মিলল সোয়াইন ফ্লু'র ভাইরাস...


তবে JN.1-এর উপসর্গ বা সংক্রমণ-ক্ষমতা নিয়ে প্রাথমিক ভাবে উদ্বেগের কিছু পাওয়া যায়নি। WHO জানিয়েছিল, যাঁদের ইতিমধ্যেই একবার কোভিড সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে বা ভ্যাকসিন নেওয়া আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে শরীর থেকে স্বাভাবিক ভাবে নিঃসৃত সিরামই  পিরোলা ও সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN.1-এর সঙ্গে লড়বে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)