ওয়েব ডেস্ক: মানুষ মরণশীল। বাস্তবের থেকেও অতি বাস্তব। রূঢ় সত্য। কিন্তু মানুষ এই জীবনকে বাঁচিয়ে রাখতেই সাহায্য নেন ওষুধের। গবেষকদের আশঙ্কা, ২০৫০ সালের মধ্যেই ওষুধও হবে 'বিষ'। এমনিতেই মানবদেহে যেকোনো ধরনের রোগের প্রতিরোধক হিসেবে যে অ্যান্টিবায়োটিকস ব্যবহার করা হয়, তা ওই শরীরের জার্ম, ব্যাক্টিরিয়ার ওপর বিষের মত কাজ করে। শরীর থাকলে রোগ হবে, আর রোগ সারাতে অ্যান্টিবায়োটিকস আছে, এই চিরাচরিত মিথ খুব শীঘ্রই ভাঙতে চলেছে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে নতুন পর্যবেক্ষণে।


পেনিসিলিনের আবিষ্কার চিকিৎসা বিজ্ঞানকে নতুন দিশা দেখিয়েছিল। বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্লেমিংয়ের পেনিসিলিন প্রতিটি মারণ রোগের প্রতিরোধক হিসেবে  অ্যান্টিবায়োটিকসে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। ১৯২৮ থেকে বর্তমান সময়, প্রায় একশতকের দিকে এগিয়ে যাওয়া এই প্রথাতেই ভাঙতে চলেছে  'অ্যান্টিবায়োটিকস প্রয়োগেই সব রোগের মুশকিল আসান'-এই মিথ। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, দীর্ঘ সময় ধরে জার্ম কিল করতে যে অ্যান্টিবায়োটিকস প্রয়োগ করা হচ্ছে তাতে তৈরি হচ্ছে একধরনের 'বাগ'। যারা অ্যান্টিবায়োটিকসকেও অকেজ করে দিতে পারে। আর এর ফলেই আর কাজ করবে না অ্যান্টিবায়োটিকস। ব্যাধি সারাতে যে অ্যান্টিবায়োটিকস সঞ্জিবনীর মত কাজ করে, তারও ধার কমবে। মানুষের মৃত্যুকে আর কোনও ভাবেই আটকানো যাবে না।