নিজস্ব প্রতিবেদন: অস্টিও আর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাত সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যেই দেখা যায়। বর্তমানে গোটা বিশ্বের প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত। আর্থ্রাইটিসের চিকিত্সা অবশ্যই রয়েছে, তবে তাতে এই রোগ সম্পূর্ণ সারিয়ে তোলা যায় না। তবে সম্প্রতি আর্থ্রাইটিসে চিকিত্সায় আশার আলো দেখাচ্ছে মৌমাছি! বিজ্ঞানীদের মতে, মৌমাছির বিষের সাহায্যে আর্থ্রাইটিসের দুর্ভোগ অনেকটাই কমিয়ে ফেলা সম্ভব। হয়তো সারিয়েও ফেলা যেতে পারে। আর এ নিয়েই চলছে গবেষণা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিন’-এর গবেষকদের দাবি, মৌমাছির বিষের তৈরি ইনজেকশন আর্থ্রাইটিস সারিয়ে তুলতে পারে। আপাতত ইঁদুরের ওপর গবেষণায় চালিয়ে সাফল্য পেয়েছেন তাঁরা। আর এই সাফল্যের পর এমনটাই বিশ্বাস মার্কিন গবেষকদের। জার্নাল অব ইথনোফর্মাকোলজি (Journal of Ethnopharmacology) এবং BMJ Open-এ প্রকাশিত হয় এই গবেষণাপত্র।


এই মার্কিন গবেষকদের প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী, মৌমাছির বিষ থেকে সংগৃহীত ‘মেলিটটিন’ নামের পেপটাইড দিয়ে তাঁরা ‘ন্যানো পার্টিকেলস’ বা অতি ক্ষুদ্র কণিকা তৈরি করেছেন। এই মেলিটটিনে রয়েছে উচ্চ মাত্রার বেদনা নাশক ক্ষমতা। মৌমাছি হুল ফোটানোর পর তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণার জন্য দায়ি এই মেলিটটিন।


গবেষকদের মতে, এই মেলিটটিনের সাহায্যে শরীরের তরুনাস্থিকেও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। কোনও দুর্ঘটনায় হাড়ে চোট লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সে সময় শরীরে যদি মেলিটটিন প্রয়োগ করা যায়, তবে বড় ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে।


আরও পড়ুন: পুরুষের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেন সুন্দরী মহিলারাই! দাবি গবেষণায়


এই মেলিটটিন থেকে তৈরি ন্যানো পার্টিকেলস ইনজেকশনের মাধ্যমে ইঁদুরের শরীরে প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছেন গবেষকরা। এই ইনজেকশন তৈরিতে সহায়তা করেছেন ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিন’-এর অধ্যাপক স্যামুয়েল উইকলাইন। তবে মানুষের শরীরে মেলিটটিন কতটা কার্যকর হবে, তা এখনও পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। মার্কিন গবেষকদের আশা, দ্রুতই এ বিষয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।