আর্থ্রাইটিসের চিকিত্সায় আশার আলো দেখাচ্ছে মৌমাছি!
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন। তবে সম্প্রতি আর্থ্রাইটিসে চিকিত্সায় আশার আলো দেখাচ্ছে মৌমাছি!
নিজস্ব প্রতিবেদন: অস্টিও আর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাত সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যেই দেখা যায়। তবে ইদানীংকালের পরিবর্তিত জীবনযাত্রায় যে কোনও বয়সেই এই রোগের প্রকোপ লক্ষ্য করা যায়। এই রোগের প্রকোপে অস্থিসন্ধির কার্যকারিতা ক্রমশ হ্রাস পায়, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হয়, ফুলে যায়। অস্টিও আর্থ্রাইটিসের চিকিত্সা অবশ্যই রয়েছে। তবে চিকিত্সায় এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও সম্পূর্ণ সারিয়ে তোলা যায় না।
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন। তবে সম্প্রতি আর্থ্রাইটিসে চিকিত্সায় আশার আলো দেখাচ্ছে মৌমাছি! না, লেখায় কোনও ভুল হয়নি। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকদের দাবি, সারিয়ে তুলবে মৌমাছির বিষের তৈরি ইনজেকশন। ইঁদুরের ওপর চালানো গবেষণায় সাফল্যের পর এমনটাই বিশ্বাস তাঁদের।
আরও পড়ুন: পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে অন্তর্বাস!
মার্কিন গবেষকরা জানাচ্ছেন, মৌমাছির বিষ থেকে নেওয়া মেলিটটিন নামের পেপটাইড দিয়ে ন্যানো পার্টিকেলস বা অতি ক্ষুদ্র কণিকা তৈরি করেছেন তাঁরা। এই মেলিটটিনে রয়েছে ব্যথা-বেদনা নাশক ক্ষমতা। এই গবেষকদের মতে, এই মেলিটটিনের সাহায্যে শরীরের তরুনাস্থিকেও ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে। কোনও দুর্ঘটনায় হাড়ে চোট-আঘাত লাগলে শরীরে মেলিটটিন প্রয়োগ করা গেলে বড় ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে। মৌমাছি হুল ফোটানোর পর তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণার কারণ এই মেলিটটিন।
এই মেলিটটিন থেকে তৈরি ন্যানো পার্টিকেলস ইনজেকশনের মাধ্যমে ইঁদুরের শরীরে প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। এই ইনজেকশন তৈরিতে সহায়তা করেছেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক স্যামুয়েল উইকলাইন। তবে মানুষের শরীরে মেলিটটিনের কার্যকারিতা এখনও পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। মার্কিন গবেষকদের আশা, দ্রুতই এ বিষয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।