নিজস্ব প্রতিবেদন: অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির উৎপাদনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ (AstraZeneca)। ভারতেও করোনা এই টিকার উৎপাদন শুরু করতে চলেছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটও (Serum Institute of India)। এ বার অক্সফোর্ডের করোনার টিকা উৎপাদনের কাজ শুরু হবে ব্রাজিলেও। সে দেশের সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তিও হয়ে গিয়েছে ব্রিটিশ সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, করোনার প্রতিষেধক উৎপাদনের কাজে প্রায় ২৮ কোটি ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছে ব্রাজিল। প্রায় ১০ কোটি করোনার প্রতিষেধক তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে ব্রাজিল। সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখোপাত্র এলসিও ফ্রাঙ্কো জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে ৩ কোটি ৪ লক্ষ ডোজ প্রতিষেধক তৈরির প্রয়োজনীয় রসদ পাঠাবে অ্যাস্ট্রা জেনিকা। তার জন্য খরচ হবে ১২ কোটি ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার। জানা গিয়েছে, ব্রাজিলের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ফিওক্রুজ (Fiocruz) অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটি উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে।


আরও পড়ুন: ২০১৩ সাল থেকেই চরিত্র বদলে ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে করোনা! দাবি বিজ্ঞানীদের


সেপ্টেম্বরে মধ্যেই ২০০ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে একজোটে এগোচ্ছে অ্যাস্ট্রা জেনিকা ও সিরাম ইনস্টিটিউট। গত সপ্তাহে ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র কার্যনির্বাহী প্রধান পাস্কাল জানান, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং নেদারল্যান্ডসে এই প্রতিষেধকের ৪০ কোটি ডোজ পাঠাবে সংস্থা। ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র সঙ্গে সেই মতো চুক্তিও হয়ে গিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই দেশগুলির। আপাতত আমেরিকা, ব্রাজিল ও ব্রিটেনে এই চিকার চূড়ান্ত পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। অন্তিম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও চলছে একই সঙ্গে। জুলাই মাসে এর ফলাফল সামনে আসার পরই জোর কদমে টিকা উৎপাদনের কাজ শুরু হয়ে যাবে সর্বত্র।