নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরুষদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা কম থাকলেও বর্তমানে এর প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু পুরুষদের স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে বহুক্ষেত্রে এই ক্যান্সার প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। পুরুষদের বুকের দেওয়ালে স্তনবৃন্তের ঠিক নিচে অল্প পরিমাণ অকার্যকরী কিছু স্তন কোষ থাকে। এই কোষগুলির অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির ফলে পুরুষদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার দেখা দেয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্তন ক্যান্সার সাধরণ অবস্থায় মহিলাদের মধ্যে দেখা গেলেও পুরুষদের মধ্যে বিরল নয়। ২০১০ সালে পৃথিবী জুড়ে পুরুষদের মধ্যে মোট ১,৯৭০টি স্তন ক্যান্সারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। তার মধ্যে ৩৯০জন এই ক্যান্সারে প্রাণ হারান। সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ১১২৮ জন পুরুষের মধ্য মাত্র ১ জনের স্তন ক্য়ান্সার হয়েছে। কিন্তু এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ছেলেদের স্তন ক্যান্সার মহিলাদের স্তন ক্যান্সার থেকে আরও অগ্রাসী ও ঝুঁকিপূর্ণ।  


পুরুষদের স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ:



১) একটি ব্যাথাহীন পিণ্ড তৈরি হয় স্তনকলার মধ্যে।


২) যে চামড়া স্তনকে ঢেকে রাখে তার পরিবর্তন দেখা যায়। চামড়া লাল হয়ে যায়, কুঁচকে যায়, তাতে ভাঁজ বা খাঁজ তৈরি হয়।


৩)স্তনবৃন্তের রঙের পরিবর্তন হয়। লালচে হয়ে যায় বা ভিতরের দিকে ঢুকে যায়।


৮) স্তনবৃন্ত থেকে রস ক্ষরণ হয়।


রোগ নির্ণয় পদ্ধতি:


আল্ট্রাসাউন্ড ও ম্যামোগ্রাফির মাধ্যমে স্তনক্যান্সারের নির্ণয় করা হয়। বায়োপসির সঙ্গেই করা ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরোন হরমোনের পরীক্ষা। করা হয় প্রোটিন পরীক্ষাও।


চিকিৎসা:


শল্যচিকিৎসাই পুরুষদের স্তন ক্যান্সারের মূল চিকিৎসা। এর মাধ্যমে অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের মাধ্যমে যে পিণ্ড (টিউমার) তৈরি হয় তাকে বাদ দেওয়া হয়। এছাড়াও রেডিয়েশন থেরাপি চলে। এর মাধ্যমে এক্স রে জাতীয় উচ্চ শক্তির রশ্মি দিয়ে ক্যান্সার কোষ গুলি মেরে ফেলা হয়। চলে কেমোথেরাপি, যার দ্বারা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ওষুধ দিয়ে ক্যান্সার কোষ গুলি মেরে ফেলা হয়। এছাড়াও পুরুষদের স্তন ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য ব্যাপকভাবে চলে হরমোন থেরাপি। সবটাই ডাক্তারের পরামর্শে।