নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্যানসারের ওষুধ আবিষ্কারের জন্য বছরের পর বছর পরীক্ষা করছেন বিজ্ঞানীরা। কষ্টকর কেমোথেরাপি ছাড়া এযাবত্ সে অর্থে আরও কোনও সুরাহা মেলেনি। কিছুদিন আগে কিউবার একদল বিজ্ঞানী একটি টিকা আবিষ্কার করেছেন। কিন্তু সেটি কতটা ফলপ্রসূত হবে তা ধন্দে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে, এবার ক্যানসারের ওষুধ আবিষ্কারে যুগান্তকারী সাফল্য পেলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা। এক্সপ্রেস নামে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এক ধরনের ইমিউন থেরাপি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এতে ক্যানসার পুরোপুরি সেরে যাবে বলে দাবি তাঁদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: শিশুদের বধিরতা দূর করতে স্বাস্থ্য সেমিনার দক্ষিণ কলকাতায়


কী এই ‘ইমিউন থেরাপি’?


যে সব ব্যক্তি প্রথম স্টেজে ক্যানসার আক্রান্ত হয়েও সুস্থ হয়েছেন, তাঁদের রক্ত কোষ দিয়েই তৈরি হবে এই চিকিৎসা পদ্ধতি। ক্যানসার মেরে ফেলার জন্য এগুলিকে প্রতিরোধক কোষ বলে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের লক্ষ্য, বিশেষ চিকিত্সার মাধ্যমে এই রক্ত কোষগুলির পরিমাণ ১০ লক্ষ গুণ বাড়িয়ে তোলা। এই কোষগুলিই মারণ রোগকে নিরাময় করবে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ওই রক্তকোষ অর্থাত্ নিউট্রোফিল সেল কেমিক্যাল এবং অ্যান্টিবডির দ্বারা ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করে দেবে। ২০১৮-র মধ্যে এই থেরাপি বাস্তবে প্রয়োগ করা যাবে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।  


আরও পড়ুন: লিভার সাফ রাখে কিশমিশের জল, জেনে নিন কীভাবে বানাবেন


এলআইএফটি বায়োসায়েন্সের চিফ এক্সিকিউটিভ আলেক্স ব্লিথ বলেন, ‘ক্যানসার পুরোপুরি সারিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। সপ্তাহে একবার করে পাঁচ-ছ’সপ্তাহ এই থেরাপি প্রয়োগ হলেই মারণ রোগকে জয় করা যাবে।


এ বিষয়ে কলকাতার বিশিষ্ট ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ২৪ ঘণ্টা ডট কম। সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘অবশ্যই এই নতুন পদ্ধতি আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে। সফলভাবে এই পদ্ধতি রোগীর ওপর প্রয়োগ করা হলে, চিকিত্সাবিজ্ঞানে নতুন দিগন্ত তৈরি হবে।’ তবে এক্ষেত্রে একটু আশঙ্কার সুরও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। সুবীরবাবুর দাবি, এর আগেও বিজ্ঞানীরা এরকম পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, পরীক্ষামূলকভাবে তা সফলও হয়েছে। কিন্তু যখনই কোনও মানুষের ওপর তা প্রয়োগ করা হয়েছে, সফলতা ততটাও মেলেনি, কিংবা মিললেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে গিয়েছে। এই পদ্ধতি সফল প্রয়োগের অপেক্ষায় রইলাম আমরা।‘