নিজস্ব প্রতিবেদন: মানুষের শরীরের দুটি কিডনি, দু’টি ইউরেটার, একটি ইউরিনারি ব্লাডার (মূত্রথলি) এবং ইউরেথ্রা (মূত্রনালি) নিয়ে মূত্রতন্ত্র গঠিত। আর এই রেচনন্ত্রের যে কোনও অংশে যদি জীবাণুর সংক্রমণ হয় তাহলে সেটাকে ‘ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন’ বলা হয়। কিডনি, মূত্রনালি, মূত্রথলি বা একাধিক অংশে একসঙ্গে এই ধরণের সংক্রমণ হতে পারে। এই সংক্রমণকেই সংক্ষেপে ইউরিন ইনফেকশন বলা হয়। সাধারণত এই সমস্যাটি মহিলা ও পুরুষ উভয়ের মধ্যে হলেও মহিলাদের ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। ইউরিন ইনফেকশন হলে যে লক্ষণগুলি প্রকাশ পায় সেগুলি হল...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইউরিন ইনফেকশন হলে যে লক্ষণ:


• প্রস্রাবে দুর্গন্ধ।


• প্রস্রাব গাঢ় হলুদ বা লালচে হওয়া।


• প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বা ব্যথা করা।


• একটু পর পর প্রস্রাবের বেগ অনুভব করলেও ঠিক মতো প্রস্রাব না হওয়া।


• তলপেটে বা পিঠের নিচের দিকে তীব্র ব্যথা করা।


• বমি ভাব বা বমি হওয়া।


• সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব বা কাঁপুনি দিয়ে ঘন ঘন জ্বর আসা।


আরও পড়ুন: অবাঞ্ছিত গর্ভাবস্থার ঝুঁকি এড়াতে পিরিয়ডের সময় সঙ্গম কতটা নিরাপদ?


বেশ কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকার আছে যেগুলি ঠিক মতো মেনে চললে ইউরিন ইনফেকশনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেয়া যাক ইউরিন ইনফেকশনের প্রতিকারে কয়েকটি কার্যকরী ঘরোয়া টোটকা...


ইউরিন ইনফেকশনে কয়েকটি কার্যকরী ঘরোয়া টোটকা:


১) ইউরিন ইনফেকশন হলে অনেক চিকিত্সকই রোগীদেরকে দৈনিক ৫০০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভিটামিন সি মুত্রথলীকে ভাল রাখে এবং প্রস্রাবের সময় জ্বালা ভাব কমাতে সহায্য করে। এছাড়াও ভিটামিন সি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়তা করে। তাই ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।


২) ইউরিন ইনফেকশন হলে কিংবা ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা থাকলে প্রতিদিন অন্তত আড়াই লিটার জল খাওয়া উচিত। বিশেষ করে প্রসাবে হলুদ ভাব দেখা গেলেই দেরি না করে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া শুরু করা উচিত। আর যাদের প্রায়ই এই সমস্যা হয় তাঁরা সব সময়েই একটু বেশি জল খাওয়ার অভ্যাস করবেন। সাধারণত প্রতি ৪ থেকে ৫ ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া উচিত। প্রস্রাব হতে এর চাইতে বেশি দেরি হলে বার বার জল খেতে থাকুন।


৩) আনারসে আছে ব্রোমেলাইন নামক একটি উপকারী এঞ্জাইম। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত রোগীদেরকে সাধারণত ব্রোমেলাইন সমৃদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। তাই ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রতিদিন এক কাপ আনারসের রস খান।


৪) ইউরিন ইনফেকশনে দু’ থেকে তিন দিনের মধ্যে সংক্রমণ কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই যত দ্রুত সম্ভব এর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। বেকিং সোডা দ্রুত ইউরিন ইনফেকশন সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। আধা চামচ বেকিং সোডা এক গ্লাস জলেতে ভাল করে মিশিয়ে দিনে একবার করে খেলেই প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা ব্যথা ভাব অনেকটাই কমে যাবে।