সুদীপ দে: করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের আবহেও শিশুদের কতগুলি টিকা বা প্রতিষেধক দেওয়া এবং বিশেষ কিছু রুটিন চেকআপ করানো একেবারেই বন্ধ করা উচিত নয়। কারণ, কিছু টিকাকরণ প্রতিষেধক দেরিতে নেওয়া হলে স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বাড়তে পারে অন্য রোগের ঝুঁকিও। তবে এই জন্য হু নির্দেশিকা অনুযায়ী ডাক্তার ও শিশুর অভিভাবকের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পোশাক পরা ও সামাজিক ও ব্যক্তিগত দূরত্ব যতদূর সম্ভব রক্ষা করতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়ে ঠিক কী বলছেন শিশু-বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক (চাইল্ড স্পেশালিস্ট) ডঃ অনিন্দ্য কুণ্ডু...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) নবজাতকের জন্য হেপাটাইটিস-বি প্রতিষেধক এবং বিসিজি প্রতিষেধক দিতেই হবে। এক মাসের কম বয়সী শিশুদের সরাসরি টিকা দেওয়া যায়। লকডাউনে দেরি হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভভ দিয়ে নেওয়া উচিত।



২) দেড়, আড়াই আর সাড়ে তিন মাসের Pentavalent প্রতিষেধকগুলিও নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।


৩) নয় মাসের MMR টিকা আর প্রতি বছরের ফ্লু-এর টিকাও কিন্তু ফেলে রাখা উচিত হবে না।


৪) কোনও ‘রেবিড এনিম্যাল’ যেমন, কুকুর বা বিড়ালের দংশনে Rabies ভ্যাকসিন কিন্তু খুবই জরুরি। এই ভ্যাকসিন কিন্তু ফেলে রাখলে বিপদ অপরিসীম।


আরও পড়ুন: লক ডাউনে শিশুর সুরক্ষায় প্রয়োজন বাড়তি সচেতনতার


ডঃ কুণ্ডু জানান, রোগ প্রতিরোধের জন্য আপনি ভ্যাকসিনেশন ক্লিনিক বা স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফোন করে প্রতিষেধকগুলি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে আগাম বুক করে নিতে পারেন। ফলে বাড়ি থেকে একাধিক বার বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। প্রতিষেধক দেওয়ার আগে শিশুদের স্বাস্থ্যের অবস্থা বা আপনি Containment Zone-এর বসিন্ধা কিনা বা আপনার বাড়িতে কাশি, সর্দি জ্বর এর কোনও মানুষ আছেন কিনা, সে সম্পর্কে চিকিত্সকদের অবহিত করা উচিত।