নিজস্ব প্রতিবেদন: বাঙালিদের কোনও উত্সব-পার্বণ কি আর মিষ্টি ছাড়া চলে? জন্মদিন, অন্নপ্রাশন, বিয়ের পাকা কথা থেকে শুরু করে বিজয়া দশমী, লক্ষ্মীপুজো, ভাইফোঁটা— সবেতেই শেষ পাতে মিষ্টি থাকবেই! যেমন আজ ভাইফোঁটা উপলক্ষে ঘরে ঘরে নানা রকম বাহারি মিষ্টি কেনা হবে। সাজিয়ে দেওয়া হবে ভাইয়ের পাতে। জানেন কি এই সব রং বাহারি মিষ্টি শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে! ভাবছেন ডায়াবেটিসের সমস্যা না থাকলে মিষ্টিতে আবার বিপদ কিসের? আসলে বিপদ লুকিয়ে রয়েছে বাহারি মিষ্টিতে মেশানো রঙে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত বছর কলকাতার নামী, অনামী একাধিক মিষ্টির দোকানের শতাধিক রঙিন মিষ্টি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল। খাদ্য মানের বিচারে বেশির ভাগ রঙিন মিষ্টিই ‘পাশ’ করতে পারেনি। এক কথায় ডাঁহা ফেল করেছে। কারণ, পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে বেশির ভাগ রঙিন মিষ্টিই খাবারের অযোগ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মিষ্টিগুলিতে মেশানো সস্তা, ক্ষতিকারক রং শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে! শুধুমাত্র কলকাতায় নয়, দেশের অন্যান্য প্রান্তেও রঙিন মিষ্টিতে ব্যবহৃত রং স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর।


পাঞ্জাব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ রূপা বক্সীর মতে, খাবারে মোশানো এই সস্তার রং স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর। আমাদের যকৃৎ বা লিভার, কিডনি এমনকি স্নায়ুতন্ত্রও মিষ্টিতে মেশানো এই সব রঙে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তাঁর মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মধ্যে এই রঙের ক্ষতিকর প্রভাব প্রায় দশ গুণ বেশি। পুষ্টিবিদদের মতে, খাবারে বা মিষ্টিতে মেশানো এই রঙের পরিমাণ খুবই সামান্য হওয়ায় এর ক্ষতিকর প্রভাব শুরুতেই ধরা পড়ে না। পরবর্তিকালে হজমের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা-সহ নানা সমস্যা একে একে বাড়তে থাকে।


আরও পড়ুন: পান খাওয়া বা সুপারি চিবানোর অভ্যাস বাড়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকি!


ডঃ বক্সী জানান, মিষ্টিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এর সঙ্গে কমলা, লাল, সবুজ ও হলুদ রং মেশানো হয়ে থাকে। তাঁর মতে, সব রঙিন মিষ্টিতেই যে সস্তা, ক্ষতিকারক রং মেশানো হচ্ছে, তা কিন্তু নয়! তবে কোনটায় সস্তার ক্ষতিকারক রং মেশানো হয়েছে আর কোনটায় হয়নি, তা সাধারণ মানুষের পক্ষে আন্দাজ করা প্রায় অসম্ভব। তাই উত্সব-পার্বণে মন ভরে মিষ্টি খান, খাওয়ান। তবে রঙিন বাহারি মিষ্টি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।