নিজস্ব প্রতিবেদন: বয়স বাড়ার অন্যতম লক্ষণ হল পাকা চুল। তাই স্বাভাবিক অল্প বয়সে চুল পাকলে কপালে ভাঁজ তো পরবেই। অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ হিসেবে তাই গবেষণায় উঠে হলে চাঞ্চাল্যকর তথ্য। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শুধু বয়স বাড়লেই যে কালো চুল ধূসর বা ধবধবে সাদা হয়ে যাবে এমনটা নয়, মানসিক চাপের কারণেও রাতারাতি মাথাভর্তি কালো চুল সাদা হয়ে যেতেই পারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাও পাওলো এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক চুল পাকার রহস্য উদ্ধারে ইঁদুরের ওপর দীর্ঘদিন পরীক্ষা চালান আর তাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। ইঁদুরের ওপর গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ইঁদুরকে ব্যথা দিলে ত্বক ও চুলের রং নিয়ন্ত্রণকারী স্টেমসেল নষ্ট হয়ে যায়। শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ অ্যাড্রেনালিন এবং কর্টিসল হরমোন নিঃসৃত হতে থাকে। হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ বেড়ে যায়, স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং তীব্র মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। এতে চুল বা লোমের রঞ্জক গুটিকায় থাকা স্টেম সেলগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব স্টেম সেল ম্যালানিন তৈরি করে। ফলে কুচকুচে কালো ইঁদুরগুলো কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি সাদা হয়ে যায়।


গবেষকদের বিশ্বাস, চুল পাকার সঙ্গে ম্যালানোসাইট স্টেম সেলের সম্পর্ক রয়েছে। এ স্টেম সেল থেকে উৎপাদিত হয় চুল ও ত্বকের রঙ নির্ধারণকারী রঞ্জক ম্যালানিন। গবেষণার ফলাফল দেখে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে যান গবেষকরা। তারা দেখেন, মানসিক চাপের সময় অতিমাত্রায় হরমোন নিঃসরণই অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ।


আরও পড়ুন: এই পদ্ধতিতে রোজ ৫ মিনিট দাঁড়ালেই কমবে শরীরের বাড়তি মেদ, ওজন!


হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক প্রফেসর ইয়া চিয়ে সু বলেন, আমরা এখন নিশ্চিতভাবে জানি ত্বক এবং চুলের এই নির্দিষ্ট পরিবর্তনের জন্য মানসিক চাপ দায়ী। এটিও জানি কীভাবে তা কাজ করে। তিনি আরো বলেন, মানসিক চাপ শুধু শরীরের জন্য খারাপ তা নয়। এই চাপে রঞ্জক পুনরুৎপাদনকারী স্টেম সেল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং, চুল একবার পাকলে যতই চেষ্টা করা হোক চুল পাকা বন্ধ করা যায় না।