নিজস্ব প্রতিবেদন:  করোনায় ত্রস্ত দেশের ছবিটা বড়ই আজব! করোনার ভয়ে বুক দুরুদুরু করলেও, পাত্তা না দেওয়ার প্রবণতা প্রবল। বড় বড় বুলি আওড়ালেও নিয়মে বুড়ো আঙুল দেখাতে সিদ্ধহস্ত একাংশ। যে ছবি বর্তমানে দেখা যাচ্ছে- মাস্ক নয় ঠোঁট সামলাচ্ছে, নয় গলা, নয়ত বা পকেট। মাস্ক পরতে বললে অনেকে ব্যঙ্গ করছে, অনেকে আবার ভুলে যাওয়ার অজুহাত রাখছে। কেউ আবার রক্তচক্ষু নিয়ে বলেছেন, 'আপনি নিজের চরকায় তেল দিন'। কিন্তু, জানেন কি পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে এখন সকলের চরকার সুতো একে অপরের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গিয়েছে! অন্যদিকে, জমায়েত করে নিজের পিঠ না চাপড়ালে বোধহয় বোঝানো সম্ভব হয়না, মানুষের জন্য কে কতটা উপকারী! কিন্তু এর মাঝে গোকুলে বেড়ে গিয়েছে করোনা। যার পরিসংখ্যান দেখলে আঁতকে উঠতে বাধ্য। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- গ্রিন করিডর করে রাজ্যে পৌঁছবে ‘Oxygen Express’: Piyush Goyal


ধীর গতিতে এগিয়ে চলা করোনা সংক্রমণ যখন হাল ছেড়ে দিয়েছে, ভ্যাকসিন যখন ওভার কনফিডেন্স বাড়িয়ে দিয়েছে মানুষের, তখনই ডবল মিউটেন্ট হয়ে নিজের রূপ বদলে রণমূর্তি ধারণ করেছে ও ন্যনোমিটারের ভাইরাসটি। অদৃশ্য তাণ্ডব চালাচ্ছে সে। বিশেষজ্ঞদের মতে শুধুমাত্র মানুষের দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবমূর্তি প্রশ্রয় দিয়েছে করোনাকে। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে, যা দেখা যাচ্ছে--


 




গত বছর, ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনা খেলা দেখাতে শুরু করে ভারতে। দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা লক্ষ ছুঁয়ে ফেলতে সময় নেয় আট মাস। তারপর ধীরে ধীরে নিম্নমুখী হতে থাকে। নভেম্বরের মাঝে সামান্য বাড়বাড়ন্ত দেখা দিলেও তেমন মাথাব্যথার কারণ হয় না। এরপর ডিসেম্বরে দৈনিক সংক্রমণ পৌঁছে যায় ২০ হাজারের নিচে। জানুয়ারিতে ১০ হাজারে নিচে নেমে যায়। এরপরই ধরা কে সরা জ্ঞান করে বসে মানুষ। শুরু হয় রাজনৈতিক জমায়েত। বিধানসভা মসনদ পাওয়ার লক্ষ্যে ব্যাক স্টেজে চলে যায় করোনা। করোনাবিধিকে শিকেয় তুলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ মাস্ক ছাড়াই ঘোরাফেরা করতে শুরু করে দেয়। এই সুযোগটার জন্যই বোধহয় লাটাইয়ের সুতোর টানটা একটু ঢিলে করেছিল করোনা। এরপরই মারাত্মক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে শুরু করে দেশ।


আরও পড়ুন- বয়স্কদের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা করোনায় আক্রান্ত নতুন প্রজন্মের উপসর্গ! আসছে না জ্বর


 ২৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে করোনা  হুহু করে বাড়তে থাকে। যার গতি এতটাই বেশি যে দৈনিক ৩ লাখ ছুঁতে সময় নিয়েছে মাত্র ২ মাস। সুতরাং, পরিস্থিতি যে কতটা খারাপ হতে চলেছে, তা ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্যমহলকে। এখনই শুধরে না গেলে, বিপদ বড় জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গোটা পরিস্থিতি হাতের বাইরে  চলে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।