নিজস্ব প্রতিবেদন: চিনে ফের মাথচাড়া দিচ্ছে করোনাভাইরাস। দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মিলছে কোভিড আক্রান্তের খবর। এরকম এক অবস্থায় করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের তৃতীয় ক্লিনিক্যাল টেস্টের অনুমতি দিল চিন সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, চিনের সরকারি তথ্য মোতাবেক সেদেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৮২,৮১৬ জন। আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছিল তেমনি চলছিল ভ্য়াকসিন তৈরির তোড়জোড়। ইতিমধ্যেই একটি ভাকসিন তৈরি করেছিল চিনা সেনাবাহিনী। কিন্তু তা সফল হয়নি। এবার উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্ট ও উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি একটি টিকা বানিয়েছে। সেটারই ক্লিনিক্যাল টেস্ট হওয়ার কথা।


আরও পড়ুন-লকডাউনের মাসপূর্তিতে স্বস্তির খবর! শর্তসাপেক্ষে আজ থেকে খোলা বিভিন্ন দোকান


প্রথম যে ভ্যাকসিনটি পরীক্ষা করা হয় সেটি ৯৬ জন মানুষের দেহে প্রয়োগ করা হয় গত ২৩ এপ্রিল। যাদের ওই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ওই ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা হবে।


এরই মধ্যে ব্যর্থ হল করোনা প্রতিষেধকের প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল! প্রাথমিকভাবে এমনটাই জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-ও। সংস্থার ওয়েবসাইটে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ব্যর্থতার কথা লিখে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কিন্তু পরক্ষণেই সেই ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা হয় প্রতিবেদনটি। তারপরই করোনা নিয়ে গবেষণা করা রেমডেসিভির ওষুধটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।


আরও পড়ুন-শনি ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় কালবৈশাখীর পূর্বাভাস, সঙ্গে হতে পারে ভারী বৃষ্টি


রেমডেসিভির নির্মাতা সংস্থা গিলিড সায়েন্সের এ বিষয়ে জানায়, কীভাবে হু-এর ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলে তথ্যের ভিত্তিতে কিছু বলা যেতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুছে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রেমডেসিভিরের ট্রায়াল মোট ১৫৮ জনের উপর করা হয়েছিল। একটি ভাগে ১৫৮ জনের উপর রেমডেসিভির প্রয়োগ করা হয়, অপর ভাগে ৭৯ জনকে স্বাভাবিক চিকিৎসার মধ্যে রাখা হয়। ১৮ জনের শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রায়াল। একমাস পরে রেমডেসিভির নেওয়া প্রায় ১৪ শতাংশ রোগী মারা যান। কিন্তু স্বাভাবিক চিকিৎসাযুক্ত প্রায় ১৩ শতাংশ রোগীও মারা যায়। এখান থেকে বলা হয় রেমডেসিভির ব্যর্থ। কিন্তু পরক্ষণেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথ্য মুছে দিয়ে জানায় প্রকাশিত তথ্যে গলদ ছিল।