নিজস্ব প্রতিবেদন: চিন থেকে শুরু। এর পর গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের রোগ প্রতিরোধের জন্য যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে তার সঙ্গেই ম্যালেরিয়ার ওষুধ ‘হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন’ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ফ্রান্স, ইতালি-সহ একাধিক দেশে। সম্প্রতি ফ্রান্সের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভাইরাসে আক্রান্তকে রোগ প্রতিরোধক ওষুধের সঙ্গে যদি হাইড্রোক্সাক্লোরোকুইন দেওয়া হয়, তাহলে ওই রোগী দ্রুত সেরে উঠছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভরতেও এই অষুধের প্রয়োগে সুফল মিলছে। করোনা আক্রান্তের চিকিত্সার ক্ষেত্রে জর্ডানের ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর পক্ষ থেকেও হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইনের ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই ওষুধ সাধারণত ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। তবে হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইনের ব্যবহার বা প্রয়োগ সম্পর্কে সতর্ক করলেন জর্ডানের বিজ্ঞানীরা।


জর্ডানের এফডিএ-র প্রধান ডঃ হাই ওবেইদাত একটি রিপোর্টে জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁর সংস্থা হাইড্রোক্সাক্লোরোকুইন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপেও আইনের ভিত্তিতে এটি অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ডঃ ওবেইদাত আরও জানান, এই ওষুধ কোনও ভাবেই করোনাভাইরাসের মতো মারণ রোগ প্রতিরোধ করতে পারে না। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি যখন দ্বিতীয় পর্যায় পৌঁছোবে, একমাত্র সে ক্ষেত্রেই এই ওষুধ ব্যবহার করা উচিত।


আরও পড়ুন: রুখতে না পারলে ভারতে ভয়ঙ্কর মহামারির রূপ নেবে করোনা, আক্রান্ত হবেন প্রায় ৩০ কোটি মানুষ!


এই প্রসঙ্গে জর্ডানের কিং হোসেন ক্যান্সার হাসপাতালে প্রধান ডঃ আসিম মনসুর জানিয়েছেন, ফ্রান্সের এই গবেষণাটি ভুল। কারণ, হাইড্রোক্সাক্লোরোকুইন কোনও ভাবেই করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে উপযুক্ত ওষুধ নয়। কারণ, এর আকার ও পরিমাপ বৈজ্ঞানিক ভাবে সঠিক নয়। তবে কোনও আক্রান্ত রোগীর শেষ অবলম্বন হিসেবে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। জর্ডানের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মেডিসিন বিভাগের একজন অধ্যাপকও ডঃ মনসুরের এই মতকে সমর্থন করেছেন। এমনকি তিনি এই বিষয়ে জোর দিয়ে বলেছেন, জর্ডান এখনও এই ওষুধের প্রয়োগের বিষয়ে ১০০ শতাংশ সুনিশ্চিত হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছায়নি।