সুদীপ দে: ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৭-এ। এ দিকে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনও ওষুধ বা টিকাও আবিষ্কার হয়েনি। তাই সারা বিশ্ব এখনও ফেস মাস্ক আর হ্যান্ড স্যানিটাইজারের উপরেই নির্ভরশীল। এই ভাইরাসের মোকাবিলা করার জন্য আগামী ১০০ দিন পর্যন্ত ফেস মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। ভারতে একদিকে যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তার সংখ্যা, তেমনই পাল্লা দিয়ে কমছে বাজারে উপলব্ধ মাস্কের সংখ্যা। ফলে দামও বাড়ছে মাস্কের। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস ঠেকাতে কাদের এবং ঠিক কোন ধরনের মাস্ক পরা জরুরি? জেনে নিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডঃ অরিন্দম বিশ্বাসের মতামত...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু সকলেরই কী মাস্ক পরা জরুরি?


যাঁদের খুব অল্পতেই ঠাণ্ডা লেগে যায়, যাঁরা মাঝে মধ্যেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন, তাঁদের অবশ্যই ফেস মাস্ক পরা উচিৎ। কারণ, তাঁদের হাঁচি-কাশি থেকেই ছড়িয়ে পড়তে পারে যে কোনও ধরনের ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া। হাঁচি-কাশি থেকেই ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাসও। তাই তাঁরা যদি মাস্ক ব্যবহার করেন তাহলে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে।



আর একটা বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। যে ব্যক্তি কোনও রকম সংক্রমণের ফলে হাঁচি-কাশি দিচ্ছেন, তিনি যেমন ফেস মাস্ক ব্যবহার করবেন, তেমনই যে বা যাঁরা ওই ব্যক্তির কাছাকাছি রয়েছেন তাঁদেরও ফেস মাস্ক ব্যবহার উচিৎ। ব্রঙ্কাইটিশ, হাঁপানির মতো সমস্যা যাঁদের রয়েছে, যাঁদের জ্বর, সর্দি-কাশি হয়েছে তাঁদের অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ। মাস্ক না থাকলে অন্তত পরিষ্কার কাচা রুমাল বা কাপড়ে নাক-মুখ ঢাকুন। এছাড়া, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং সন্দেহভাজন— প্রত্যেকরই ফেস মাস্ক ব্যবহার উচিৎ।


আরও পড়ুন: ব্রয়লারের চিকেন নষ্ট করে দিচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ভবিষ্যতে আর কাজ হবে না অ্যান্টিবায়োটিকে!


এ বার প্রশ্ন হল কোন ধরনের ফেস মাস্ক পরবেন?


ডঃ বিশ্বাস জানান, সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক পরে শুধু করোনা কেন, কোনও ভাইরাস বা জীবাণুর আক্রমণই ঠেকানো সম্ভব নয়। কারণ, ওই মাস্ক পরলেও ভাইরাস বা জীবাণুরা আমাদের শরীরে ঢুকে পড়ার পর্যাপ্ত জায়গা পেয়ে যায়। তাঁর মতে, তাই যে কোনও দ্বিস্তর বিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করা যেতেই পারে। নাক-মুখ ঢেকেও হাঁচি-কাশি চলতে থাকলে ওই মাস্ক বেশিক্ষণ পরে না থাকাই ভাল। আগাম সতর্কতা হিসাবে মাস্ক পরার আগে ভাল করে স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। বাতিল করা মাস্ক যেখানে সেখানে ফেলা যাবে না। খোলা জায়গায় বাতিল করা মাস্ক ফেললে সংক্রমণের আশঙ্কায় থেকেই যায়। তাই উপযুক্ত সতর্কতা আর পরিচ্ছন্নতায় করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে নিজেকে সহজেই দূরে রাখা সম্ভব।