বাইরে থেকে ফিরে সাফ করুন জামাকাপড়-জুতো, জেনে নিন কী কী করবেন
ভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই বাইরে থেকে ফেরার পর মেনে চলুন এইসব সুরক্ষাবিধি
নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউন পরিস্থিতিতেও বাইরে বেরিয়ে কাজ করতে হচ্ছে জরুরি পরিষেবায় যুক্তদের। শুধু তাই নয় অনেক ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে দোকান যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বাইরে বেরোনোর সময় মাস্ক গ্লাভস ইত্যাদি ব্যবহার করছেন অনেকেই। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর সেগুলি এবং জামাকাপড়ের জন্য কিছু সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন কি?
আরও পড়ুন-লকডাউনের মাসপূর্তিতে স্বস্তির খবর! শর্তসাপেক্ষে আজ থেকে খোলা বিভিন্ন দোকান
বিশেষজ্ঞদের মতে করোনাভাইরাস কাপড়ের উপর প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তাই মাস্ক কিংবা জামার হাতার মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই বাইরে থেকে ফেরার পর মেনে চলুন এইসব সুরক্ষাবিধি। ফলে আপনার অজান্তেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পরা রোধ করতে পারবেন।
১. বাড়ির সদর দরজার পাশে এক বালতি জল তৈরি রাখুন। জলে বেশ কিছুটা জীবাণুনাশক মিশিয়ে নিন। প্রতিবার বাড়ি ফেরার পর সেই জলে জুতো ধুয়ে বাইরেই রোদে রেখে দিন।
২. সম্ভব হলে সদর দরজা কিংবা বারান্দায় জামা পাল্টে ফেলার চেষ্টা করুন।
৩. এতদিনে বাড়ি ফিরে সাবান দিয়ে হাত মুখ ধোয়ার রীতি সবাই জেনে গিয়েছেন। সম্ভব হলে স্নান করে নেওয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে জামা কাপড় সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে নেওয়া প্রয়োজন। বাড়ি ফেরার পরই বেশ খানিকটা জীবাণুনাশক মিশ্রিত গরম জলে জামা কাপড় ভিজিয়ে দিন। কাচার পর শুকনো হলে সেগুলি ভালো করে ইস্ত্রি করে নিন।
আরও পড়ুন-শনি ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় কালবৈশাখীর পূর্বাভাস, সঙ্গে হতে পারে ভারী বৃষ্টি
৪. সম্ভব হলে দুটি মাস্ক বা রুমাল ব্যবহার করুন। একটি ব্যবহারের পরেই জামাকাপড়ের সঙ্গে গরম জলে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
৫. বাজার গেলে যতটা সম্ভব খুচরো নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। অহেতুক বেশি নোট নিয়ে না ফেরাই ভাল।
৬. বাড়ি ফিরে হাত মুখ ধোয়া এবং জামাকাপড় বদলানোর আগে পর্যন্ত বাড়ির সদস্যদের কাছে যাওয়া কিংবা জিনিসপত্রের হাত দেওয়া এড়িয়ে চলুন।