নিজস্ব প্রতিবেদন: ম্যাসাচুসেটসের বস্টন মেডিক্যাল সেন্টারের কাজ করতেন সন্দ্রা ক্রসবি। কোভিড রোগীর পরিচর্যা করতেন তিনি। ক্রমে তিনি নিজেও আক্রান্ত হলেন। সময় লাগল তাঁর সেরে উঠতে। এবং সেই অসুস্থতাকালীন নিজের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা পর্যালোচনা করে তিনি উপলব্ধি করলেন, কোভিড আক্রান্তেরা বিস্মৃতি রোগে ভুগতে পারে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফ্রান্সের স্ট্রসবুর্গে এ জাতীয় একটি স্টাডিই করা হয়েছিল। তা থেকেও জানা গিয়েছিল, করোনা-আক্রান্তের ৬৫ শতাংশের মধ্যেই ডেরিলিয়ামের আশঙ্কা থাকে। এবং তার আশঙ্কা বেশি দেখা যায় বয়স্কদের মধ্যে।


অতিমারী পর্বের শুরু থেকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে দেশের প্রবীণ সমাজের একটি বড় অংশ পর্যন্ত কার্যত ঘরবন্দি থেকেছে। চার দেওয়ালের এই জীবনে তাঁদের গ্রাস করছে একাকিত্ব। সঙ্গে বেড়েছে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের আশঙ্কাও। এই রোগে প্রথমে স্মৃতি চলে যায়, চিন্তাভাবনার শক্তি হারিয়ে যায়। এমনকি স্নান-খাওয়া-ঘুমের মতো বিষয়গুলি করেও ভুলে যান আক্রান্তেরা। চিকিৎসকদের মতে, লকডাউন ও অতিমারীর জেরে একলা হয়ে পড়া বয়স্কদের মধ্যে স্মৃতিভ্রংশের সম্ভাবনা প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে।


'জার্নাল অব অ্যালঝাইমার্স ডিজিজ' করোনা সংক্রমণকালে বয়স্কদের মধ্যে স্মৃতিভ্রংশ বেড়ে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স্ক মানুষেরা ইচ্ছে থাকলেও বেরোতে পারেন না। ফলে তাঁরাই মানসিক সমস্যার শিকার হন বেশি।


কী ভাবে বেরনো যায় এ থেকে?


বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এ ক্ষেত্রে নতুন ও পুরনো প্রজন্মের মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তোলার উপরেই জোর দিতে হবে। বয়স্কদের কিছু নতুন নতুন জিনিসও শিখে নিতে হবে। যেমন, প্রয়োজনে ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করা শিখতে পারেন তাঁরা। এতে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগের নতুন রাস্তা খুলে যাবে। আর তখন একাকিত্বের যন্ত্রণা থেকে কিছুটা বেরিয়েও আসতে পারবেন তাঁরা।


also read: সাবধান! পোষা কুকুরের থেকে হতে পারে ডায়াবেটিস