সুদীপ দে: সারা বিশ্বজুড়ে এখনও বিভিন্ন জায়গায় চলছে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা। কী ভাবে এই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা যায় বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষকে কেন নাক মুখ ঢেকে থাকতে বলা হচ্ছে বার বার! কেন বার বার ভাল করে হাত ধুতে বলা হচ্চে? আসলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং আগাম সতর্কতাই করোনা সংক্রমণের হাত থেকে আমাদের প্রাথমিক ভাবে সুরক্ষা দিতে পারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বর্তমানে পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে আমাদের ব্যবহৃত থালা-বাসন থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই এই বিষয়ে সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (মেডিসিন) ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস


ডঃ বিশ্বাস জানান, এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে আমরা কোন ধরনের বাসনপত্রে খাওয়াদাওয়া করছি, কোন ধরনের পাত্রে জল রাখছি, খাচ্ছি— এই বিষয়গুলিও অত্যন্ত জরুরি। এর সঙ্গেই খাওয়া-দাওয়ার পর ওই বাসনপত্রগুলি ভাল ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখা হচ্ছে কিনা, সেটাও লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।


তিনি জানা, করোনা সংক্রমণের জেরে পরিস্থিতি দ্রুত ভয়ঙ্কর দিকে এগোচ্ছে। তাই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে রান্নার বা খাওয়ার বাসনপত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক হওয়া জরুরি।



মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানতে পেরেছেন, SARS-CoV-2 বাতাসে মাত্র ৩ ঘণ্টা সজীব থাকে। যতক্ষণ এই ভাইরাস বাতাসে থাকে ততক্ষণ এরা দুর্বল থাকে। তাই সাধারণ মানুষ কোনও ভাবেই বাতাস থেকে এই ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারেন না।


এছাড়াও এই গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে যে, এই ভাইরাস স্টেইনলেস স্টিল বা প্লাস্টিকের উপর প্রায় তিন দিন পর্যন্ত সজীব থাকতে পারে। এমনকি কার্ডবোর্ডের উপরেও প্রায় ২৪ ঘণ্টা সজীব থাকতে পারে এই ভাইরাস। আর তামার উপর প্রায় ৪ ঘণ্টা সজীব থাকে এই করোনাভাইরাস। কাচের বা প্লাস্টিকের পাত্রের গায়ে ৯ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।



আরও পড়ুন: আন্দাজে ওষুধ খাওয়ার অভ্যাসে লাগাম দিন, নইলে মৃত্যুও হতে পারে!


ডঃ বিশ্বাস জানান, ভাইরাস বা জীবানু সজীব থাকতে পারে একমাত্র সেগুলি যদি অপরিষ্কার থাকে। তাই আমরা যে কোনও ধরনের পাত্রেই খাই না কেন, সেগুলি উষ্ণ জলে সাবান দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। প্লাস্টিকের বোতলে জল না খেয়ে বাড়িতে যদি তামা বা কাঁসার পাত্র থাকে সেগুলিতে জল রেখে খান। কাচের বোতলগুলিও ভাল করে উষ্ণ জলে ধুয়ে তবেই সেগুলিতে খাবার জল রাখুন। সর্বপরি মেনে চলুন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা। উপযুক্ত সতর্কতায় সংক্রমণ এড়িয়ে সুস্থ থাকুন।