কারা কিনতে পারবেন হাইড্রক্সিক্লোরোকুই? কী ভাবে মিলবে অনুমতি? জেনে নিন
সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক স্পষ্ট করে দিয়েছে কারা, কখন, কী ভাবে কিনতে পারবেন হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের রোগ প্রতিরোধের জন্য যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে তার সঙ্গেই ম্যালেরিয়ার ওষুধ ‘হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন’ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ফ্রান্স, ইতালি-সহ একাধিক দেশে।
ভারতেও এই অষুধের প্রয়োগে সুফল মিলছে। করোনা আক্রান্তের চিকিত্সার ক্ষেত্রে জর্ডানের ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর পক্ষ থেকেও হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইনের ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই ওষুধ সাধারণত ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। তবে ইদানীং করোনাভাইরাসের মৃত্যুমিছিল রুখতে গোটা বিশ্বেই কদর বেড়েছে হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইনের। করোনা মোকাবিলার জন্য আমেরিকার মতো দেশ ভারতের থেকে কয়েক লক্ষ হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন নিয়েছে।
আগাম সতর্কতার কারণে প্যারাসিটামল, অ্যালার্জির ওষুধ বা অন্যান্য পেইন কিলারের মতো হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইনও কি এলাকার ওষুধের দোকান থেকে কিনে রাখা যাবে? একেবারেই না। সঠিক মাত্রায় এই ওষুধ না খেলে শরীরে বিরুপ প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের মতো গুরুতর সমস্যাও। তাই এর ব্যবহার সম্পর্কে বার বার সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেকের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি খেলে বিঘ্নিত হতে পারে হার্টের ছন্দ। পাশাপাশি সোরিয়াসিসের মতো অসুখ বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও ত্বকের র্যাশ, চোখ জ্বালা করার মতো সমস্যা-সহ নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে কিডনি-রোগ বিশেষজ্ঞ (নেফ্রোলজিস্ট) চিকিত্সক ডঃ প্রতিম সেনগুপ্তর মত, নিজের থেকে কখনওই অ্যান্টি ম্যালেরিয়া ওষুধ খেতে যাবেন না। কারণ, এর ফলে হৃদরোগের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়।
আরও পড়ুন: উপসর্গ প্রকাশের ১৮ ঘণ্টা আগেই ছড়াতে শুরু করে করোনা; ধরা পড়ে না র্যাপিড টেস্টেও!
সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক স্পষ্ট করে দিয়েছে কারা, কখন, কী ভাবে কিনতে পারবেন হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন। আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
কাদের হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন কেনার অনুমতি রয়েছে:
১) কেন্দ্রীয় নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকের নির্দেশ ছাড়া কোনও ভাবেই কাউকে হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন বিক্রি করা যাবে না।
২) কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী, যে সব স্বাস্থ্যকর্মী সরাসরি করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন বা ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছেন, তাঁরা চাইলে নিজেদের পরিচয়পত্র-সহ ডিউটির বিস্তারিত কাগজপত্র দেখিয়ে হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন কিনতে পারেন।
৩) কেউ যদি কোনও ভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীর পরিবারের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে এসে থাকেন, সে ক্ষেত্রে তিনি প্রেসক্রিপশনে লেখা চিকিৎসকের নির্দেশ দেখিয়ে হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন কিনতে পারেন।