নিজস্ব প্রতিবেদন: সচেতনতা, আগাম সতর্কতার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কেন্দ্রের AYUSH মন্ত্রকের ভরসা ভারতীয় বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির উপর। আয়ুর্বেদিক, যোগাভ্যাস, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি— এই পাঁচ বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির উপর নির্ভর করে এ বার করোনা মোকাবিলার পরামর্শ কেন্দ্রের AYUSH মন্ত্রকের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একটি নির্দেশিকায় বিভিন্ন বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি বা ধারার একাধিক ওষুধের নাম ও সেটি খাওয়ার নিয়মাবলিও জানানো হয়েছে AYUSH মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রয়োজন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আর নির্দেশিকায় উল্লেখিত আয়ুর্বেদিক, ইউনানি বা হোমিওপ্যাথি ওষুধগুলি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে AYUSH মন্ত্রক। আসুন সেগুলি সম্পর্কে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...


আয়ুর্বেদিক ওষুধ: খাবার আগে দিনে দু’বার ৬০ মিলিলিটার (ml) ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করা জলের সঙ্গে ১৫ মিলিলিটার (ml) ইন্দুকান্থম কাশ্যম সিরাপ (Indukantham Kashayam Syrup)। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ১০ গ্রাম করে অগস্ত্য রসায়নম (Agastya rasayanam) দিনে দু’বার।


সিদ্ধা পদ্ধতি নির্ভর ওষুধ: কাবাসুরা কুদিনীর (Kabasura kudineer) দিনে একবার খাবার আগে প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ৬০ থেকে ৯০ মিলিলিটার (ml) এবং শিশুদের ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪৫ মিলিলিটার (ml)।


যোগা ও ভেষজ চিকিৎসা: আমলকি, তুলসি, আদা, হলুদ আর পাতিলেবু আন্দাজ মতো মিসিয়ে সরবত বা চায়ের মতো করে বড়রা ২৫০ মিলিলিটার (ml) করে দিনে দু’বার আর ছোটরা মিলিলিটার (ml) করে দিনে দু’বার খেতে হবে। এছাড়া, গোলমরিচ, তুলসি আর হলুদ একসঙ্গে ফুটিয়ে ২০ থেকে ৫০ মিলিলিটার (ml) করে দিনে দু’বার খেতে হবে।



যোগাসন: বজ্রাসন, ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম, ভ্রামরি প্রাণায়াম ও অন্যান্য স্নায়োবিক উদ্দীপনা নিয়ন্ত্রণকারী আসন করা যেতে পারে। এর সঙ্গেই সূর্যস্নান, হাইড্রো থেরাপি ও অ্যারোমা থেরাপিকে কাজে লাগানো যেতে পারে।


আরও পড়ুন: এবার করোনা প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হল চণ্ডীগড়ে


ইউনানি পদ্ধতি নির্ভর ওষুধ (নির্ধারিত পাচন): বেহিদানা (Behidana), উন্নাব (Unnab), সেপিস্তান (Sapistan)।


হোমিওপ্যাথি ওষুধ: আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০সি (Arsenicum Album 30c) খালিপেটে দিনে একবার, পর পর তিনদিন। এছাড়া ব্রায়োনিয়া অ্যালবা (Bryonia Alba), রাস টক্স (Rhus tox), বেলাডোনা গেলসেমিয়াম ইউপেটেরিয়াম (Belladonna Gelsemium Eupatorium) ইত্যাদি ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাওয়া যেতে পারে।