নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার চিকিৎসায় রেমডেসিভির, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের চেয়েও শক্তিশালী, কার্যকরী ওষুধের চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুমতি পেল ভারতেরই একটি ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা নোভালিড ফার্মা (NovaLead Pharma)। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (DCGI) থেকে এই ওষুধের (NLP21) চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমতি ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে পুনের এই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংস্থায় এই ওষুধের (NLP21) গবেষণা দলের প্রধান সুধীর কুলকার্নি জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১০০ থেকে ১৫০ জন করোনা আক্রান্তের উপর এই ওষুধ পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হবে। যাঁদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে, অক্সিজেন নিতে হচ্ছে, তাঁদের উপরেই এই ওষুধ (NLP21) প্রয়োগ করা হবে। তবে যে সমস্ত রোগীকে ইতিমধ্যেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে, তাঁদের উপর এই ওষুধ (NLP21) প্রয়োগ করা হবে না বলেই জানান সুধীর কুলকার্নি। তবে ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীর শরীরেও ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করবে এই ওষুধ (NLP21), দাবি সংস্থার।


সংস্থা জানিয়েছে, বিগত বহু বছর ধরেই এই ওষুধ একাধিক ভাইরাস ঘটিত রোগের চিকিৎসায় প্রয়োগ করা হচ্ছে। এই ওষুধের (NLP21) কোনও রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বলেই দাবি করেছে নোভালিড ফার্মা।


সংস্থা জানিয়েছে, পরবর্তী ৩-৪ মাসের মধ্যেই এই ওষুধ (NLP21) নিয়ে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে ফেলবে সংস্থা। সংস্থার দাবি, এই ওষুধ (NLP21) করোনার সংক্রমণে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ‘ভাইরাল লোড’ কমাতেও সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এই ওষুধ (NLP21) করোনার চিকিৎসায় রেমডেসিভির, লোপিনাভির, রিতোনাভিয়ার, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের চেয়েও অনেক শক্তিশালী ও কার্যকর।


আরও পড়ুন: করোনায় বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা; রোজ মৃত্যু হতে পারে হাজারেরও বেশি শিশুর! আশঙ্কা ইউনিসেফের


নোভালিড ফার্মার তৈরি এই ওষুধের পরীক্ষামূলক সাফল্য করোনার বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই অনেকটা সহজ করে দেবে বলে আশা করছে বিশেষজ্ঞরা। এই ওষুধের (NLP21) চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল হলে হয়তো অক্টোবরের মধ্যেই এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে পারবে পুনের এই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা।