নিজস্ব প্রতিবেদন: এ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৩ হাজার ৫৬৭ জন। এ পর্যন্ত ৮,১৬০ জনের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। এই ভাইরাসে ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এ পর্যন্ত ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫২, মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট, জ্বর, মাথা ব্যথা, হাঁচি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়— এ কথা আমরা এখন মোটামুটি সকলেই জানি। কিন্তু কী ভাবে শরীরে বাসা বাঁধছে এই ভাইরাস? কোন পথে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ? আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...


কেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে শ্বাসকষ্ট হয়?


টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় একদল গবেষকের দাবি, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কোষগুলি ফুলে ওঠে। ভাইরাস অণুগুলি ফেটে চারপাশের অন্যান্য কোষগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। সংক্রমণ দ্রুত ব্রঙ্কিওল টিউবে ছড়িয়ে পড়ে। এই সময় শুরু হয় গলাব্যথা আর শুকনো কাশি। সংক্রমণ আরও বাড়লে ভাইরাসের অণুগুলি ক্রমশ ছড়িয়ে ফুসফুসের মিউকাস মেমব্রেনে। ফুসফুসের দুই পা‌শের পেরিফেরিয়াল অংশ থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে শ্বাসানালীর উপরে ট্রাকিয়ার দিকে। সংক্রমণ ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়লে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণের কাজটাও সঠিক ভাবে হয় না। ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি ক্রমশ দুর্বল ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে।


আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে মাছেই ভরসা বাঙালির! এই বিষয়গুলি দেখে না কিনলেই বাড়বে এই মারণ রোগের ঝুঁকি


আক্রান্তদের পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এই ভাইরাসের সংক্রমণে ফুসফুসে দুই পা‌শের পেরিফেরিয়াল অংশে হালকা, পালতা আস্তরণ দেখা যায়। সংক্রমণ যত বাড়ে, ওই আস্তরণ ততই ঘন হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, এই ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধার পরও প্রায় এক সপ্তাহ কোনও লক্ষণই প্রকাশ পায় না। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিন সাতেক পর থেকে হঠাৎ করেই জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথা শুরু হয়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রত্যেকেরই ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণগুলির অপেক্ষা না করে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিৎ।