নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বজুড়ে ক্রমশ নিয়ন্ত্রণে আসছে করোনা পরিস্থিতি। ‘ওয়ার্ল্ডোমিটার’ (worldometers)-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৪৩ লক্ষ ৬ হাজার ৭৪৯ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৫২ শতাংশেরও বেশি আর মোট মৃতের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছেন ভাইরাসের প্রকোপ কাটিয়ে। এর মধ্যেই করোনার চিকিৎসায় সস্তার ‘জীবনদায়ী’ ওষুধের খোঁজ দিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। করোনার চিকিৎসায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি স্টেরয়েড ‘ডেক্সামেথাসোন’ (Dexamethasone)-এর ‘জীবনদায়ী’ প্রভাবের প্রমাণ পেয়েছেন ব্রিটিশ গবেষকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনার চিকিৎসায় অক্সফোর্ডের গবেষকদের এই অভূতপূর্ব খোঁজ নিয়ে উচ্ছসিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানান, ওষুধ প্রয়োগে ভেন্টিলেশন বা অক্সিজেনের সাহায্য নেওয়া মরনাপন্ন করোনা রোগীদের মৃত্যুর হার এতটা কমানোর ঘটনা এই প্রথম। এটা দারুন খবর যা করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অগ্রগতি ঘটাবে!



অক্সফোর্ডের গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, ‘ডেক্সামেথাসোন’ (Dexamethasone) প্রয়োগ করে রোগীদের মৃত্যুর হার কমিয়েছে প্রায় ৪১ শতাংশ। এই ওষুধের প্রয়োগে অক্সিজেনের সাহায্য নেওয়া গুরুতর অসুস্থ করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ এবং স্থিতিশীল করোনা রোগীদের মৃত্যুর হার প্রায় ১৩ শতাংশ কমেছে।


আরও পড়ুন: সঙ্কটজনক করোনা রোগীর মৃত্যুর হার ৪১% কমাতে সক্ষম সস্তা ও সহজলভ্য এই ওষুধ!


ভারতীয় মূল্যে মোটামুটি ২০ টাকা দামের ডেক্সামেথাসোন ১৯৬০ সাল থেকেই বাতজনিত সমস্যা, চর্মরোগ, মারাত্মক অ্যালার্জি, হাঁপানি, দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগের চিকিৎসায় প্রয়োগ করা হয়। নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এই স্টেরয়েডের প্রয়োগ করা হয়। বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশেই এই ওষুধ সুলভ মূল্যেই পাওয়া যায়। তাই WHO-এর আশা এই ওষুধের হাত ধরে খুব দ্রুত করোনার চিকিৎসায় বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে।