ওয়েব ডেস্ক : হঠাত্ করে ভীষণ খিটখিটে হয়ে পড়ছে আপনার বাড়ির খুদে সদস্যটি? রাতদিন পড়ার পরেও ভুলে যাচ্ছে সব কিছু? ভেবে দেখুন ঠিক মতো ঘুমাচ্ছে তো আপনার সন্তান? না ঘুমালেই বিপদ, বলছেন গবেষকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সকালে স্কুল-বিকেলে আঁকার ক্লাস-তার পর টিউশন। তার উপর রয়েছে হোম টাস্কের পাহাড়। সেই সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে কম্পিউটার গেমসের নেশা! টিভিতে কার্টুন। ঘুমাতে-ঘুমাতে সেই রাত বারোটা... ঘরে-ঘরে ছোটদের এখন এটাই রুটিন... ক্লাস থ্রি-ফোরের পড়ুয়াদেরও দিনে ছ-সাত ঘণ্টা বেশি ঘুমনোর সময় কই! আর এই কম ঘুমই ডেকে আনছে বিপদ।


কম ঘুমে বিপদ!


অনেকেরই স্মৃতি শক্তির সমস্যা দেখা যাচ্ছে। স্কুলের রেজাল্টে তার ছাপ পড়ছে।


বাড়ছে মানসিক সমস্যাও। নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে শিশু-কিশোররা। এমনকী আত্মহত্যা প্রবণও হয়ে পড়ছে কেউ কেউ।


এখানেই শেষ নয়, কম ঘুমের থেকে হার্টেরও সমস্যা হতে পারে বলে মত চিকিত্সকদের।


'ঘুমোতে দিন'


গবেষকরা বলছেন, ১২ বছর বয়সীদের অন্তত ২৫ শতাংশ প্রয়োজনের থেকে কম ঘুমায়। আর এই কম ঘুম থেকেই শরীরে বাসা বাধছে অসুখ! আপনার শিশুর সুস্থ জীবনের জন্য তাঁকে ঘুমোতে দিন, এমনটাই পরামর্শ চিকিত্সকদের। কিন্তু রোজ কতটা ঘুম প্রয়োজন? সেই হিসাবও দিয়েছেন আমেরিকান অ্যাকেডেমি অফ স্লিপ মেডিসিন।


১ বছর পর্যন্ত শিশুদের রোজ ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।


২ বছর পর্যন্ত বয়সীদের ঘুমানো উচিত ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা।


৩ থেকে ৫ বছসীদের ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।


৬ থেকে ১২ বছর বয়সীদের ৯ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমের দরকার।


টিন এজারদের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমোতে হবে।


কোন পথে সমাধান?


চিকিত্সকরা বলছেন, অভিভাবকরা একটু সচেতন হলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি সম্ভব। উইক এন্ড, বা স্কুলে লম্বা ছুটির সময়ও ঘুমের রুটিনের হেরফের করা উচিত নয় বলে মনে করছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভালো ঘুমের জন্য ছোটদের কম্পিউটার, মোবাইলে  খেলা করতে দেওয়া উচিত্ নয়। আপনার বাড়িতেও এমন সমস্যা থাকলে অবিলম্বে যোগাযোগ করুন চিকিত্সকের সঙ্গে।