ওয়েব ডেস্ক: বর্ষাকাল আসলেই অন্য কোনও অসুখ আপনার হোক আর না হোক চোখের এই অসুখটা হবেই। কনজাংকটিভাইটিস। এটি আবার ছোঁয়াচেও। চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া। চোখে ব্যথা করা। এই রোগের লক্ষণ। আর বর্ষাকার তো এসেই গেল। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কনজাংকটিভাইটিসের প্রকোপ। একজনের থেকে অন্যজনের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে এই অসুখ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই রোগের লক্ষণগুলি কী কী-


১) এই অসুখ প্রথমে একটি চোখে হয়। পরে অন্য চোখেও ছড়িয়ে পড়ে।


২) এটা প্রচলিত আছে যে, কনজাংকটিভাইটিস রোগটি আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকার ফলে হয়। এই রোগের ভাইরাস বাতাসে থাকে। এবং এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চারপাশে যাঁরা থাকেন, তাঁরাও এই অসুখে আক্রান্ত হন।


৩) চোখ থেকে ক্রমাগত জল পড়তে থাকে।


৪) চোখের নিচের অংশ ফুলে যায় এবং লাল হয়ে যায়।


৫) চোখ জ্বলতে এবং চুলকাতে থাকে।


৬) আলোয় চোখে কষ্ট হয়।


কনজাংকটিভাইটিস হলে কী করবেন-


১) কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিতে থাকুন। তবে জলের ঝাপটা দেওয়ার আগে হাতটা ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নেবেন।


২) ভেজা চোখ টিস্যু পেপার দিয়ে মুছুন। এবং টিস্যু পেপারটি অবশ্যই ডাস্টবিনে ফেলবেন। নাহলে আপনার ব্যবহার করা টিস্যু পেপার থেকে সংক্রমণ ঘটতে পারে।


৩) চশমার ব্যবহার করুন। এর ফলে আপনার চোখ ভুলবশত হাত লেগে যাওয়া এবং ধুলো ধোঁয়া থেকে বাঁচবে।


৪) চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ চোখে দিন।


৫) নিজের ব্যবহার করা প্রসাধনী সামগ্রী অন্য কারওকে ব্যবহার করতে দেবেন না বা অন্যের ব্যবহার করা প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করবেন না।


কী করবেন না-


১) চোখ ঘষে চুলকাবেন না।


২) অন্য কারও আই ড্রপ ব্যবহার করবেন না। এর ফলে আপনার ফের কনজাংকটিভাইটিস হতে পারে।


৩) নিজের ব্যক্তিগত সামগ্রী বাকিদের সঙ্গে শেয়ার করবেন না।


৪) সম্ভব হলে আলাদা বাথরুম ব্যবহার করুন।