নিজস্ব প্রতিবেদন: দিনের পর দিন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই রোগের নাম শুনলেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের মনে। তার কারণ অবশ্য চিকিত্সার বিপুল খরচ। ক্যান্সারের চিকিত্সার বিপুল খরচের কারণে অনেকেই যাথাযথ চিকিত্সার ব্যবস্থা করে উঠতে পারেন না। যে কারণে ক্যান্সার এখনও পর্যন্ত মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে একটি আতঙ্ক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোটা বিশ্বে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় ক্যান্সারে। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যানসার ধরা পড়ে তৃতীয় বা চতুর্থ পর্যায়ে। এই পরিস্থিতিতে ক্যান্সারের চিকিত্সা বা মোকাবিলা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। চিকিত্সকরা বলেন, ক্যান্সারে আক্রান্তকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব। কিন্তু এর জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটি শনাক্ত করা অত্যন্ত জরুরী। আর আগেভাগেই ক্যান্সার শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে কুকুর!


শুনতে অবাক লাগলেও কুকুরের তীব্র ঘ্রাণশক্তি প্রামথমিক পর্যায়েই ক্যান্সার শনাক্ত করতে সক্ষম। অন্তত এমনটাই দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ‘আমেরিকান সোসাইটি ফর বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি’র গবেষকদের। তাঁদের দাবি, ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই নির্ভুলভাবে ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারে কুকুর! তবে তার জন্য তাদের সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ধরে গবেষণার পর এ বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছেন তাঁরা।



জানা গিয়েছে, এই পরীক্ষার জন্য চারটি বিগল প্রজাতির কুকুরকে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর ম্যালিগন্যান্ট লাং (ফুসফুসের ক্যান্সার) ক্যান্সারে আক্রান্তদের রক্তের সিরাম এবং সম্পূর্ণ সুস্থ ব্যক্তিদের রক্তের সিরামের মধ্যে পার্থক্য করতে সক্ষম হয় ওই কুকুরগুলি। ‘আমেরিকান সোসাইটি ফর বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি’র গবেষকদের দাবি, ৯৬.৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই নির্ভুলভাবে ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের গন্ধ আলাদা ভাবে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় ওই চারটি বিগল প্রজাতির কুকুর।


আরও পড়ুন: শীত পড়তেই সর্দি-কাশিতে জেরবার? জেনে নিন ৯টি অব্যর্থ প্রতিকার


এই গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক হিথার জ্যানকুয়েরা (Heather Junqueira) জানান, কুকুরের ঘ্রাণশক্তি মানুষের তুলনায় ১০ হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। তাই এই পদ্ধতিতে কুকুরের ঘ্রাণশক্তি কাজে লাগিয়ে যদি প্রাথমিক পর্যায়েই রোগটিকে শনাক্ত করা যায়, সে ক্ষেত্রে ক্যান্সার সারিয়ে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে। কারণ, ক্যান্সার যত দ্রুত ধরা পড়বে, এ রোগের চিকিৎসা করাও ততই সহজ হবে। তবে ক্যান্সার শনাক্ত করার পদ্ধতি হিসাবে এই পরীক্ষা পদ্ধতিটির স্বীকৃতি পেতে আরও বেশ কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। প্রয়োজন আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার।