২৪ বছর ধরে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করেই চিকিৎসায় সাফল্য, জানালেন ড. অতুল গোয়েল
`যেভাবে শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের রেজিসটেন্স তৈরি হচ্ছে, তা সাধারণ মানুষকে বুঝতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক দাবি করাটা বন্ধ করতে হবে।`
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: ২৪ বছর ধরে কোনও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেননি। নিজেও না। রোগীর চিকিৎসাতেও না। কিন্তু তারপরেও রোগ সেরেছে। অসুস্থতা সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে রোগী। সাফ জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হেল্থ সার্ভিসের ডিরেক্টর জেনারেল ড. অতুল গোয়েল। কলকাতায় এক কনফারেন্সে যোগ দিতে এসে ড. অতুল গোয়েল বলেন, 'আমি গত ২৪ বছর ধরে কোনও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করিনি। আমি আমার রোগীদেরও অ্যান্টিবায়োটিক দিই না।'
তাঁর কথায়, 'যেভাবে শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের রেজিসটেন্স তৈরি হচ্ছে, তা সাধারণ মানুষকে বুঝতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক দাবি করাটা বন্ধ করতে হবে। নাহলে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থায় সংকট আসবে। কারণ, আমাদের হাতে এত অ্যান্টিবায়োটিকের লাইন আপ নেই। যেভাবে শরীরে রেজিসটেন্স তৈরি হচ্ছে, তার মোকাবিলা করতে পারে। বা বলা ভালো সেই রেজিসটেন্স ভাঙতে পারে। তাই কারণে অকারণে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমানো শুধু নয়, বন্ধ করতে হবে। মানুষকে গুগল করে চিকিৎসা করা বন্ধ করতে হবে। ডাক্তারদের উপর ভরসা করতে হবে।'
অ্যান্টিবায়োটিক কী?
অ্যান্টিবায়োটিক হচ্ছে কয়েক ধরনের জৈব-রাসায়নিক ওষুধ যা অণুজীবদের (বিশেষ করে ব্যাক্টেরিয়া) নাশ করে বা তাদের বৃদ্ধি রোধ করে। সাধারণত এক-একটি অ্যান্টিবায়োটিক এক-এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। অ্যান্টিবায়োটিক সাধারণভাবে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার হয়। ভাইরাসের বিরুদ্ধে এটি কাজ করে না। বিভিন্ন ছত্রাক থেকে অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি হয়।
অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
১। ডায়েরিয়া
২। অ্যাসিডিটি এবং গ্যাস
৩। ত্বকে অ্যালার্জি
৪। ইস্ট ইনফেকশন
৫। স্টোমাটাইটিস
৬। কিডনির কার্যকারিতা হ্রাস