নিজস্ব প্রতিবেদন: তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ উর্দ্ধমুখী। গরমের চোটে ঘরের বাইরে বেরনোই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কাজের প্রয়োজনে বেশির ভাগ মানুষকেই বাইরে বেরতেই হয়। আর বাইরে থেকে গরমে ঘেমে নেয়ে বিদ্ধস্ত হয়ে বাড়ি ফিরেই ফ্রিজ খুলে ঠান্ডা জল বের করে ঢক ঢক করে জল খাওয়ার পর তবেই কিছুটা স্বস্তি মেলে! তবে জানেন কি, প্রচণ্ড গরমে বাইরে থেকে বিদ্ধস্ত হয়ে ঘরে ঢুকেই এই ভাবে ঠান্ডা জল খাওয়ার অভ্যাস মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে? এর ফলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে শরীরের! আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পরে ঠান্ডা জল খাওয়ার অভ্যাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। কারণ, এর ফলে শ্বাসনালীতে অতিরিক্ত পরিমাণে শ্লেষ্মার আস্তরণ তৈরি হয়, যা থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।


২) মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডা জল খাওয়ার ফলে রক্তনালী সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত ঠান্ডা জল খাওয়ার ফলে আমাদের স্বাভাবিক পরিপাক ক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে হজমের মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।


৩) শরীরচর্চা বা ওয়ার্কআউটের পর ঠান্ডা জল একেবারেই খাবেন না। কারণ, ঘণ্টা খানেক ওয়ার্কআউটের পর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেড়ে যায়। এই সময় ঠান্ডা জলে খেলে শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য বিঘ্নিত হয়। ফলে হজমের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়ার্কআউটের পর যদি ঠান্ডা জলের পরিবর্তে তেষ্টা মেটাতে উষ্ণ জল খাওয়া যায়, তবে উপকার পাওয়া যাবে।


আরও পড়ুন: মুরগির মেটে কি আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর?


৪) দন্ত চিকিত্সক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ঠান্ডা জল খেলে তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে দাঁতের ভেগাস স্নায়ুর উপর। এই ভেগাস স্নায়ু আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। অতিরিক্ত ঠান্ডা জল খেলে ভেগাস স্নায়ু উদ্দীপিত হয়ে ওঠে। ফলে আমাদের হৃদযন্ত্রের গতি অনেকটাই কমে যেতে পারে।


সুতরাং, আপনারও যদি এ ভাবে ঠান্ডা জল খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে তা আজই বদলে ফেলুন। না হলে আপনার শরীরে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা বাসা বাঁধতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন।