রোগা হতে বেশি করে ফ্যাট খান
ফ্যাট। রোগা হওয়ার কথা ভাবলে প্রথমেই এই শব্দটা মাথায় আসে। রোগা হওয়ার সহজ উপায় হল `ডেলি লাইফ` থেকে কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া ফ্যাট। কারণ ওজন বাড়ানোয় যত নষ্টের গোড়া হল এই ফ্যাট। কিন্তু জানেন কি এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল?
ওয়েব ডেস্ক: ফ্যাট। রোগা হওয়ার কথা ভাবলে প্রথমেই এই শব্দটা মাথায় আসে। রোগা হওয়ার সহজ উপায় হল 'ডেলি লাইফ' থেকে কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া ফ্যাট। কারণ ওজন বাড়ানোয় যত নষ্টের গোড়া হল এই ফ্যাট। কিন্তু জানেন কি এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল? বরং ঠিকঠাক ভাবে খাওয়া দাওয়া করলে এই ফ্যাটই পারে আপনাকে 'স্লিম' করতে।
জেনে নিন কয়েকটি ফ্যাট যা আপনাকে রোগা হতে সাহায্য করবে:-
১. নারকেল তেল:- তেল মানেই ফ্যাট। তাই রোগা হতে গেলে সরিয়ে রাখতে হবে তেল, ঘি, মাখন। একদমই না। বরং বেশি করে খান নারকেল তেল। এই তেলের ফ্যাট যখন লিভারে পৌঁছয় তখন তা চর্বি হিসেবে জমা হয় না, জ্বলে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে তেলও খাওয়া যায় আবার ফ্যাটও জমে না।
২. মাছ:- ফ্যাটের ভয়ে অনেকেই বড়, পাকা মাছ খান না। আড় মাছ জাতীয় তেলুক মাছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। তাহলে কি রোগা হতে গেলে মাছ খাবেন না? সবসময় টাটকা মাছ খান। লোকাল বা টাটকা মাছে বাড়তি খারাপ ফ্যাট কম থাকে। ফলে এই ফ্যাট শরীরের ক্ষতি করে না। তুলনায় খারাপ ফ্যাট বেশি থাকে চালানি মাছ বা চাষ করা মাছে।
৩. ঘি, মাখন: - এতদিন জানতেন রোগা হতে গেলে একদম খাওয়া চলবে না ঘি, মাখন। কারণ ঘি, মাখনে প্রচুর ফ্যাট থাকে। ঠিক কথা। কিন্তু ঘি বা মাখনে যে ফ্যাট থাকে তার উপকারিতাও আছে। এই ফ্যাটে থাকে 'কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড'। এই অ্যাসিড বডি কমপোজিশন ঠিক রাখে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই রোগা হতে রোজ এক চামচ ঘি খাওয়া যেতেই পারে।
৪. অলিভ অয়েল:- বাজারে প্রচলিত রয়েছে সরষের তেলের বদলে সোয়াবিন তেল ব্যাবহার করলে নাকি ক্ষতি কম হয়। কিন্তু সত্যিই যদি তেল খেয়ে রোগা হতে হয় তবে ব্যবহার করুন অলিভ ওয়েল। এই তেলের ফ্যাট সহজপাচ্য। ফলে শরীরে জমা হয় না।
৫. আমণ্ড বাদাম:- বাদাম মানেই ফ্যাট। তাই রোগা হতে যারা চান তাদের ডায়েটে বাদাম,নৈব নৈব চ। কিন্তু আমণ্ড হল এমন এক রকম বাদাম যেখানে ফ্যাট প্রায় থাকে না বললেই চলে। শধু তাই নয় এতে বেশি পরিমাণে থাকে ভিটামিন, মিনারেলস যাতে ফ্যাট মিশে যায়। খারাপ ফ্যাট থাকে না বলে ওজন বাড়ার ভয় থাকে না। খারাপ ফ্যাট থেকেই বাড়ে ওজন।
৬. ডিমের কুসুম:- মোটা হওয়ার ভয়ে অনেকেই ডিমকে বাতিলের তালিকায় রাখেন। কিন্তু ডিম খেয়েও রোগা হওয়া যায়। শুধু বাদ দিন সাদা অংশ। ডিমের কুসুমে যা ফ্যাট থাকে তা ক্ষতিকারক নয়। এই ফ্যাট সহজেই ভিটামিনের সঙ্গে মিশে যায়। ফলে শরীরে জমা হয় না।