নিজস্ব প্রতিবেদন: থাইরয়েডের সমস্যা এখন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের স্বরযন্ত্রের দুই পাশে থাকা একটি বিশেষ গ্রন্থি হল থাইরয়েড। থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ হলো আমাদের শরীরের কিছু অত্যাবশ্যকীয় হরমোন (থাইরয়েড হরমোন) উৎপাদন করা। শরীরের জন্য এই থাইরয়েড হরমোনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে কম বা বেশি হরমোন উৎপাদিত হলেই শরীরের উপর বিভিন্ন রকমের বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। শুরু হয় থাইরয়েডের সমস্যা। থাইরয়েড হরমোন কম উৎপন্ন হলে বলা হয় হাইপোথাইরয়েডিসম এবং বেশি উৎপন্ন হলে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিসম। মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা একটু বেশিই লক্ষ করা যায়। তবে কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারলে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বেশ কিছু খাবার-দাবার আপনাকে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: কী করে বুঝবেন পেটে ব্যথার কারণ অ্যাপেনডিসাইটিস?


• আয়োডিন যুক্ত খাবার থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে খুবই কার্যকরী। আয়োডিন যুক্ত নুন রান্নায় দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া কলা, গাজর, স্ট্রবেরি, দুধ, সামুদ্রিক মাছ, শাকপাতা ও মৌসুমি সবজিতে যথেষ্ট পরিমাণ আয়োডিন রয়েছে। তাই পাতে রাখতে পারেন এই খাবারগুলিকেও।


• থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রোটিন খুবই জরুরি। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখবেন। চিজ, পনির, ডিম,  মুরগির মাংস পরিমিত পরিমাণে খেলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ঠিক মতো কাজ করতে পারবে।


• থাইরয়েড ভাল ভাবে কাজ করার জন্য রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম খুব জরুরি। তাই রাতের ঘুমের সঙ্গে কোনও আপোশ নয়। অনেকে রাতে জেগে থেকে দিনে বা ভোরের দিকে ঘুমান। যদি দিনের বেলাতেও আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হয়, তাহলে ক্ষতি নেই।


• থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে সঠিক ডায়েটের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করাও জরুরি। সাইকেল চালানো বা সাঁতার থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে খুবই কার্যকরী।