নিজস্ব প্রতিবেদন: আজকাল আমরা অনেকেই শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার সমস্যার সঙ্গে পরিচিত। কারণ, শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের উচ্চ মাত্রার উপস্থিতির ফলে গেঁটে বাত বা গিঁটে গিঁটে ব্যথার মতো একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাঁটু-সহ বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে ইউরিক অ্যাসিড জমা হতে থাকে এবং তাতে অস্থিসন্ধি ফুলে যায় এবং ব্যথা হতে থাকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্বাভাবিক ভাবে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের নির্দিষ্ট মাত্রা:


পুরুষের ক্ষেত্রে: ৩.৪–৭.0 mg/dL
মহিলার ক্ষেত্রে: ২.৪–৬.0 mg/dL


এর চেয়ে বেশি হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই কার্যকর একটি উপাদান হল অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। এর দামও খুব বেশি নয়।



এবার জেনে নিন কী ভাবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করবেন...


অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার কিনুন। ১ চা চামচ ভিনেগার নিন, এক গ্লাস জলের সঙ্গে মিশিয়ে পান করে ফেলুন। দিনে অন্তত ২-৩ বার এই মিশ্রণ পান করুন নিয়মিত।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার শরীর থেকে যে কোনও দূষিত পদার্থ বের করে দিতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশুদ্ধ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারে থাকে ম্যালিক অ্যাসিড, যা ইউরিক অ্যাসিডের ক্রিস্টালগুলোকে ভেঙে দেয় এবং তাদের শরীরে গাঁটগুলোতে জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। তাছাড়া প্রতিদিন অন্তত ৩ লিটার জল খেতে পারলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড জমা হতে পারে না।



আসলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় খাবার-দাবারে তেমন একটা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন নেই। উচ্চ প্রটিন যুক্ত খাবার, যেমন মাছ-মাংস, মুসুড়ির ডাল, রাজমা, কিছু সবুজ সবজি (পালং শাক) এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত পিউরিনযুক্ত খাবার, যেমন লাল মাংস (রেড মিট), লাল মদ (রম) বা বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ একেবারেই না খাওয়া ভাল। মনে রাখবেন, শরীরে উচ্চ মাত্রার ইউরিক অ্যাসিডের উপস্থিতির ফলে হতে পারে গেঁটে বাত, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি সমস্যা-সহ নানান জটিল অসুখ।