Zika virus: কোভিডের পরে চিন্তা বাড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস, আক্রান্ত ৫ বছরের নাবালিকা
Zika virus case in Karnataka: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে জিকা ভাইরাস এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই ফহরনের মশাগুলি ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং শহুরে হলুদ জ্বরও ছড়াতে পারে বলে জানা গিয়েছে। জিকা ভাইরাস রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়। জিকা ভাইরাসের এখনও কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা অথবা ভ্যাকসিন নেই বলে জানা গিয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সোমবার কর্ণাটকের রাইচুর জেলার একটি পাঁচ বছর বয়সী নাবালিকা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর এই খবর জানিয়েছেন। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে এটাই জিকা ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ঘটনা। মন্ত্রী জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেছেন যে জিকা ভাইরাসের খবরে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তিনি এই কথা জানিয়েছেন কারণ সরকার এই রোগ নিয়ন্ত্রণে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং পাশাপাশি একটি নির্দেশিকাও জারি করবে বলে জানানো হয়েছে।
কর্ণাটকে জিকা ভাইরাস
রায়চুরে জিকা ভাইরাসের ঘটনায় একটি প্রশ্নের জবাবে সুধাকর বলেছেন, ‘আমরা জিকা ভাইরাসের নিশ্চিত ঘটনা সম্পর্কে পুনে থেকে একটি ল্যাব রিপোর্ট পেয়েছি। পাঁচ ডিসেম্বর, এটি প্রক্রিয়া করা হয়েছিল এবং আট ডিসেম্বর রিপোর্ট করা হয়েছিল। তিনটি নমুনা পাঠানো হয়েছিল যার মধ্যে দুটি নেতিবাচক এবং একটি পজিটিভ ছিল। এই পজিটিভ নমুনাটি একজন পাঁচ বছর বয়সী নাবালিকার। আমরা নজর রাখছি’।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, তিনি উল্লেখ করেন যে কয়েক মাস আগে কেরালা, মহারাষ্ট্র এবং উত্তর প্রদেশে জিকা ভাইরাসের ঘটনা পাওয়া গিয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘কর্নাটকে এটি প্রথম নিশ্চিত হওয়া কেস। সিরামটির ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া পরীক্ষা করা হয় তখন এটি প্রকাশ্যে এসেছিল। সাধারণত, এই জাতীয় নমুনার ১০ শতাংশ পরীক্ষার জন্য পুনেতে পাঠানো হয়, যার মধ্যে এটি পজিটিভ হিসাবে এসেছে’।
আরও পড়ুন: Cancer Treatment: ক্যানসারের চিকিৎসায় নতুন দিশা! প্রয়োগে মিলল যুগান্তকারী সাফল্য...
মেয়েটির ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। সরকার আশেপাশের জেলাগুলিতে সন্দেহজনক ঘটনার জন্য নজরদারি শুরু করেছে।
কী এই জিকা ভাইরাস?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে জিকা ভাইরাস এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই ফহরনের মশাগুলি ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং শহুরে হলুদ জ্বরও ছড়াতে পারে বলে জানা গিয়েছে। জিকা ভাইরাস রক্ত পরীক্ষা অথবা শরীরের অন্যান্য তরল পদার্থের পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়। জিকা ভাইরাসের এখনও কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা অথবা ভ্যাকসিন নেই বলে জানা গিয়েছে।
জিকা ভাইরাসের লক্ষণ কী?
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে ফুসকুড়ি, জ্বর, কনজেক্টিভাইটিস, পেশী এবং জয়েন্টে ব্যথা, অস্বস্তি এবং মাথাব্যথা এই রোগের সাধারণ লক্ষণ। যদিও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষের লক্ষণ দেখা দেয় না। লক্ষণগুলি সাধারণত দুই থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)