জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উফ... এই এক ভুঁড়ি! কমার তো নামগন্ধ নেই, এদিকে বেড়ে চলেছে তো বেড়েই চলেছে। না পরা যাচ্ছে পছন্দমত জামাকাপড়,অন্যদিকে বডিশেমিং যেন গোদের ওপর বিষফোঁড়া। দেখুন, ফ্যাট কিন্তু শুধু পেটের ভুঁড়িই বাড়ায় না, শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে জমেও অস্বস্তি বাড়ায়। অসহ্যকর এই ভুঁড়ি কমানোর উপায় নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে। এদিকে কাজের চাপে শরীরের খেয়াল রাখতে বেশিরভাগ সময়ই নাকানিচোবানি খেতে হয়। এই পরিস্থিতিতে ঠিক কী করা উচিত! প্রথমেই একটা মিথ বাস্ট করা দরকার, খেলে ভুঁড়ি বাড়ে। না! খাওয়া দাওয়া করলে ভুঁড়ি কখনোই বাড়ে না। বরং ভুঁড়ি কমানোর চক্করে না খেয়ে পেটে গামছা দিয়ে রাখলে শরীরের ওপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। কারণ ডায়েটের ওপরই নির্ভর করে বডি ফ্যাটের তারতম্য ঘটে। এই  ভুঁড়ি কমাতে রোজ এক্সারসাইজ যেমন চালিয়ে যাচ্ছেন তা চালিয়ে যান। শুধু পাত পেড়ে খাওয়ায় সময় এই কয়েকটি ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। খুব সহজেই দারুণ ফল পাবেন... 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) খালি পেটে একদম থাকবেন না। দীর্ঘক্ষণ খাওয়া দাওয়া না করলে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ফর্ম করে যায়। সেই অ্যাসিডই আপনার অজান্তেই পেট ফুলিয়ে দেয় এবং সেটি জমতে জমতে পেটে ফ্যাটের পুরু স্তর তৈরি করে। সেইজন্য সময়মত চারবেলা খাবার খান। 


২) ব্রেকফাস্ট কিন্তু পেট ভরে খাবেন। কারণ সকালের ওই খাবারই শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। দুপুরের লাঞ্চ এবং সন্ধের স্ন্যাক্স তুলনামূলকভাবে হাল্কা রাখুন। তবে রাতের খাবার একদমই বেশি করবেন না,যতটা সম্ভব কম করুন। তার কারণ, আমরা ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চের পর অনেকটা সময় পাই খাবার হজম করার জন্য। বাইরে কাজের হুড়োহুড়িতে খাবার এমনিতেই হজম হয়ে যায়, আর ভাল হজম শক্তি মানেই পেটে ফ্যাট জমা থেকে রেহাই। কিন্তু ডিনারের কিছুক্ষণ পরই ঘুমতে চলে যাই। তখন হজম হতে অনেকটা সময় লাগে। 


আরও পড়ুন: Dyspnea: একটুতেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন! রোগের কারণ জানলে আঁতকে উঠবেন...


৩)  যাই মরসুম হোক না কেন রোজ লাঞ্চের পর টক দই খান। টক দই খেতে না পারলে অল্প একটু চিনি মিশিয়ে নিতেও পারেন। প্যাচপ্যাচে গরমে পেট ঠান্ডা রাখতে দইয়ের ঘোল-লস্যি যেমন দারুণ কাজ করে ঠিক তেমনি পেটের ফ্যাট ঝরাতেও সাহায্য করে।  


৪)  ডায়েটে গুজবেরি, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি প্রভৃতি কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত ফল যোগ করুন। পলিফেলনে সমৃদ্ধ এই ফলগুলি ফ্যাট কমানোর পাশাপাশি শরীরের ইমিউনিটি বাড়ায় এবং অনেক রকমের অ্যালার্জি থেকেও শরীর সুস্থ রাখে।  


৫) ফাস্ট ফুড যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। খিদে পেলেই যখন তখন অনলাইনে মোমো, বিরিয়ানি, রোল, চাউমিন অর্ডার করা কমিয়ে দিন। অফিসের টাইমে বাইয়ের খাবার খাচ্ছেন খান, কিন্তু বাড়িতে এসে খাবার অর্ডার করার প্রবণতা থেকে দূরে থাকুন। 


৬) যদি জিম না করেন তাহলে রোজ সময়মত হাল্কা ব্যায়াম করুন। কাজ না থাকলে সারাদিন শুয়ে-বসে কাটাবেন না। বাড়ির ছাদে বা খোলা উঠোনে হাঁটাচলা করুন। শরীরের আড়ষ্টার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত ভুঁড়িও কমবে। 


৭) ওজন কমানোর জন্য যাই পদ্ধতি মেনে চলুন না কেন, খেয়াল রাখবেন শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি যেন না হয়। মাছ-মাংস-ডিম প্রতিটি পদই পাতে রাখুন। তবে বেশি পরিমাণে কোনও খাবারই খাওয়া উচিত নয়। 


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)