নিজস্ব প্রতিবেদন: পুজোর সময় অনেকেরই পছন্দের পোশাক পরার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভুঁড়ি বা শরীরের বাড়তি মেদ। পুজোর মধ্যে আর নতুন করে কিছু করা সম্ভব নয়। তাই অনেকেই বেল্ট পরে ভুঁড়ি লুকিয়ে সেজেগুজে পুজোয় ঘুরতে বেরবেন। অনেকে আবার ঝঞ্ঝাটহীন উপায়ে, বিনা কসরতে মেদ ঝরানোর জন্য বছরের বেশির ভাগ সময়ই বেল্ট ব্যবহার করেন। কিন্তু আদৌ কি কোনও কাজ হয় এতে! এ ভাবে কি সত্যিই মেদ ঝরানো সম্ভব? চিকিৎসকদের মতে, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এতটাই বেশি যে শরীরের পক্ষে তা মোটেই ভাল নয়! আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) অধিকাংশ বাজারচলতি বেল্টে শরীরের ওই নির্দিষ্ট (বেল্ট বাঁধা অংশে) অংশের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত বেড়ে যায়। এর ফলে র্যা শ, সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।


২) বেল্ট পরে দীর্ঘক্ষণ থাকার ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম বেরিয়ে যাওয়ায় ডিহাইড্রেশন হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। নিয়মিত ডিহাইড্রেশন হতে থাকলে ভবিষ্যতে হজমের গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।


৩) বেল্ট পরে দীর্ঘক্ষণ থাকার ফলে শরীরে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপও। ফলে হৃদযন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।


আরও পড়ুন: দিনের অনেকটা সময় হেডফোন ব্যবহার করেন? সাবধান হোন এখনই!


৪) চিকিৎসকদের মতে, ২০-২৫ মিনিটের বেশি পেটে এই বেল্ট বেঁধে রাখলে পরবর্তীকালে পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়ে। টেস্টিক্যুলার-এর স্বাভাবিক তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে স্পার্ম কাউন্ট কমে যেতে পারে। এমন কী, শুক্রানুর উৎপাদনও বরাবরের জন্যে ব্যহত হতে পারে।


৫) জাপানের ‘সেন্ট মারিয়ানা ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে মেদ ঝরাতে বেল্টের ব্যবহার টেস্টিক্যুলার এবং প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে।


তাই ফাঁকিবাজি উপায়ে চটজলদি মেদ ঝরানোর চেষ্টায় বেল্ট ব্যবহার না করে পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে ডায়েট আর নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন কমান।