নিজস্ব প্রতিবেদন: গর্ভবতী মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের যথাযথ যত্ন নিতে এ বার বাড়ি বাড়ি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট, ফলিক অ্যাসিড, জিঙ্কের সাপ্লিমেন্ট সরবরাহ করবে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। যাতে গর্ভবতী মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ঠিক থাকে। এরই সঙ্গেই ডিহাইড্রেশন সলিউশন আর মহিলাদের জন্য কনট্রাসেপটিভ পিল বা গর্ভরোধক ওষুধও সরবরাহ করা হবে। এই পরিষেবা মূলত কন্টেনমেন্ট জোনে বসবাসকারী মহিলা ও শিশুদের কথা ভেবেই শুরু করতে চাইছে কেন্দ্র। এর পাশাপাশি বাফার জোনগুলিতেও পাওয়া যাবে কেন্দ্রের দেওয়া এই ওষুধগুলি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই উদ্যোগে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে পাশে থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে। জানা গিয়েছে, প্রতিটি রাজ্যে কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে এই ওষুধগুলি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকারের ওপর। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব প্রীতি সুদান জানান, কোনও ভাবেই স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা পরিষেবার ব্যাঘাত ঘটতে দেওয়া যাবে না। তার জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র।


প্রসঙ্গত, এ্রপ্রিলের শেষের দিকে এক মারাত্মক আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাষ্ট্রপুঞ্জের পপুলেশান ফান্ড ও তার সহযোগী সংস্থাগুলির (UNFPA) সমীক্ষার পর জানানো হয়, লকডাউনের ফলে অনিচ্ছাকৃত মাতৃত্বের সম্মুখীন হতে চলেছেন পৃথিবীর প্রায় ৭০ লক্ষ মহিলা! লকডাউন যদি ৬ মাসের জন্য প্রলম্বিত হয় সে ক্ষেত্রে বিপর্যন্ত হয়ে পড়বে মা ও শিশুদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা। ফলে বাড়বে প্রসূতি ও শিশু মৃত্যুর ঘটনা। ইউনিসেফের আশঙ্কা, আগামী ৬ মাসে বিশ্বের ১১৮টি দেশে পাঁচ বছরেরও কম বয়সী প্রায় ২.৫ মিলিয়ন (২৫ লক্ষ) শিশুর মৃত্যু হতে পারে!


আরও পড়ুন: ফুসফুসে করোনা সংক্রমণ সরাসরি রুখে দিতে পারে এই ইনহেলার! দাবি গবেষকদের


ইউনিসেফ ও রাষ্ট্রপুঞ্জের সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই করোনা আক্রান্ত ছাড়াও সমস্ত মহিলা, প্রসূতি, শিশু এবং বয়ঃসন্ধির কিশোর-কিশোরীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে এই উদ্যোগ সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশ সম্বলিত চিঠি পৌঁছে গিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব, মুখ্য সচিবদের কাছে।