ওয়েব ডেস্ক: দিন দিন কাহিল হয়ে পড়ছেন? এনার্জি পাচ্ছেন না? আপনার সামনেই আছে ঔষধি গাছের রানি। তুলসি। দুটো তুলসি পাতাই বদলে দেবে জীবনী শক্তি। স্বাস্থ্য হোক বা স্কিন, তুলসি তুলনাহীন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বর্ষা মানেই হাঁচি, কাশি, সর্দি, জ্বর। চটজলদি এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধান কী? হাতের নাগালেই রয়েছে এমন ঘরোয়া টোটকা, যাতে সর্দি, কাশি বলবে পালাই পালাই।


বাংলার ঘরে ঘরে তুলসি গাছ। প্রতিদিন কয়েকটি তুলসি পাতা। আর তাতেই কেল্লা ফতে। আয়ুর্বেদে তুলসি ভেষজের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সর্দি, কাশির যম তুলসি। তুলসির রস সর্দি-কাশিতে দারুণ কাজ দেয়। শিশুদের জন্য কয়েকটি তাজা তুলসি পাতার রসের সঙ্গে একটু আদার রস ও মধু দিয়ে খেলে খুব উপকার। তুলসির রস মধু, আদা ও অল্প একটু পিঁয়াজের রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে সর্দি বের হয়ে যায়। শ্বাসকষ্টের সমস্যাতেও দারুণ কাজ দেয়।  


জলের সঙ্গে তুলসি পাতা, গোল মরিচ ও মিছরি মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করতে হবে। দিনে ৩-৪ বার এই সিরাপ খেলে জ্বর উধাও। পেট খারাপে তুলসির ১০টি পাতা সামান্য জিরের সঙ্গে পিষে ৩-৪বার খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। তুলসির পাতা ও শিকড় ম্যালেরিয়ায় খুব ভাল কাজ দেয়। প্রতিদিন সকালে গোল মরিচের সঙ্গে তুলসি পাতার রস ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক। প্রতিদিন সকালে ১৮০ গ্রাম তুলসির রস খেলে পুরনো জ্বর, রক্তক্ষরণ, আমাশা, অর্শে উপকার পাওয়া যায়। উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টে রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখে তুলসি। লিভারের কার্যক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয় তুলসির রস।


বয়স কমাতে চান? ঘরোয়া টোটকা তুলসি। তুলসি পাতা বেটে মুখে লাগালে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে, বলিরেখা ও ব্রন উধাও। তুলসি পাতা ও দুর্বোর ডগা বেটে গায়ে মাখলে ঘামাচি ও চুলকানি ভাল হয়। কোমও চর্মরোগ বা ঘা দ্রুত কমাতে তুলসি পাতা ও ফটকিরি একসঙ্গে বেটে লাগালে কমে যাবে। তুলসি পাতার রস ফোঁটা ফোঁটা করে কানে দিলে কানের ব্যথা ও পুঁজ পড়া রোগ সেরে যায়।বাতের ব্যথার জায়গায় তুলসি পাতার রসে ন্যাকড়া ভিজিয়ে পট্টি দিলে ব্যথা সেরে যায়।


কুইন অফ হার্ব, মানে ভেষজের রানি। নির্দিষ্ট কোনও ঋতু নয়, সারা বছর ব্যবহার করা যায় তুলসি। এই গাছের হাওয়াও খুব উপকারি। তাই সব বাড়ির ব্যলকনি বা ফুলের টবে থাক একটি করে তুলসি গাছ।